বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ছাদ বাগান ধীরে ধীর জনপ্রিয় হচ্ছে। ছাদ বাগান আধুনিক ব্যস্ত নগর জীবনে একটু প্রশান্তির ছোঁয়া এনে দিতে পারে।প্রায় সব ধরনের গাছ ছাদে লাগানো যায়। বিশেষ করে ছাদে বিভিন্ন ফলের গাছ বেশি লাগানো হয়।
Advertisement
কেউ কেউ সবজির চাষও করেন। সৌন্দর্যপ্রেমীরা এসবের পাশাপাশি ফুলের গাছও রোপণ করছেন। ফলের গা ফলের ভেতর পেয়ারা, আপেল, লেবু, আম। অন্যদিক ফুলের ভেতর কসমস, সালভিয়া, ডালিয়া, চন্দ্রমুখী, সূর্যমুখী ইত্যাদি দেখা যায়। শীতকালে চন্দ্রমল্লিকা, পিটুনিয়া, সালভিয়া ইত্যাদি ফুল দেখা যায় বেশি। এ ধরনের ফুলগুলো শুষ্কতায়ও সতেজ থাকে। তাই এ ধরনের ফুল গাছ লাগাতে বেশি আগ্রহী।
ছাদ বাগানের গাছ ভালো রাখতে বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাছে পানি দেওয়ার উত্তম সময় ভোরে অথবা সন্ধ্যায়। মাটির টব অথবা প্লাস্টিকের বোতল অথবা বালতিতে গাছ লাগানো যায়।
নার্সারিগুলোতে ছাদবাগানের উপযোগী বিভিন্ন রকমের গাছের চারা, সার, কীটনাশক ইত্যাদি পাওয়া যায়। ছাত্রবাগানের যত্নও নিতে হবে নিয়ম মেনে। এবার জেনে নিন ছাদ বাগানের যেভা যত্ন নেবে।
Advertisement
১. ছাদে দীর্ঘস্থায়ী বাগানের বেড পদ্ধতিতে বাগান করাই ভালো।
২. জলছাদে বাগান করা গেলে ভালো। খেয়াল রাখতে হবে যেন মূল ছাদ বাগানের কারণে ড্যামেজ হয়ে না যায়।
৩. খুব ভোরে অথবা সন্ধ্যায় গাছে পানি দিতে হবে। তবে এমন অনেক গাছ আছে যেসব গাছে পানির দরকার নেই।
৪. ছাদে ঝোপজাতীয় গাছ লাগানো উচিত নয়। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।
Advertisement
৫. পোকামাকড় দমনে খেয়াল রাখতে হবে। পোকামাকড় হলে কৃষি বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলতে হবে।
৬. রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করাই ভালো। চেষ্টা করতে হবে জৈব সার দিয়ে চাষাবাদ করতে।
৭. ঋতু অনুযায়ী গাছ নির্বাচন করতে হবে। টবের ভেতর যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। তাই টবের নিচে ছিদ্র রাখতে হবে, যাতে সহজে পানি বেরিয়ে যেতে পারে।
এমএমএফ/এমএস