দেশজুড়ে

চোখের জলে উপজেলা চেয়ারম্যান বাচ্চুকে শেষ বিদায়

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চু (৫৮)। মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ১৫মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

Advertisement

করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অনেকের স্বজনরাও কাছে যান না। মরদেহ ফেলে চলে যান। এছাড়া সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তির মরদেহ জনসমাগম ছাড়াই দাফন করা হয়। কিন্তু মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চুর ক্ষেত্রে এসব নির্দেশনা-ভয় কাজে আসেনি। ভয় উপেক্ষা করে তার জানাজায় ঢল নামে মানুষের। হাজারো মানুষের চোখের জল, শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় শেষ বিদায় জানানো হয় তাকে।

ঢাকা থেকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সযোগে বুধবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে মির্জা মনিরুজ্জামান বাচ্চুর মরদেহ মধুখালীর নিজ বাড়িতে এসে পৌঁছে। তাকে এক নজর দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করে বাড়িতে। সেখান থেকে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে জানাজার জন্য মধুখালী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নেয়া হয় তার মরদেহ।

সেখানে প্রিয় নেতার জানাজায় অংশ নিতে একে একে আসতে থাকে মানুষ। ঈদগাহ মাঠ ভরে গিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর দাঁড়িয়ে যান তারা। বাদ আসর জানাজা শেষে আখচাষী কলেজ সংলগ্ন কেন্দ্রীয় কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

Advertisement

জানাজায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. আব্দুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা মনোয়ার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম, পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক বকুসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন।

এর আগে গত শনিবার (২৪ অক্টোবর) জ্বর, কাশি ও ডায়াবেটিসে অসুস্থ হলে তাকে ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার করোনাসহ অন্যান্য পরীক্ষা করানো হলে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। রোববার (২৫ অক্টোবর) তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ১৫ মিনিটে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন পুত্র, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বি কে সিকদার সজল/আরএআর/পিআর

Advertisement