দেশজুড়ে

ব্যাগের নাম `পাখির জন্য ভালোবাসা`

শপিং ব্যাগের নাম ‘পাখির জন্য ভালোবাসা’। পুরো ব্যাগজুড়ে লেখা রয়েছে বাংলাদেশে কত প্রজাতির পাখি রয়েছে, কত প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কি কি কারণে বিলুপ্ত হচ্ছে এসবের বয়ান। রয়েছে পাখি শিকার বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বানও। শপিং ব্যাগটি বাজারে এনেছে নগরের রাজা ম্যানশনের নান্দনিক পোষাক বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ‘স্লোগান’। শনিবার পাখির প্রতি ভালোবাসা থেকে তৈরি এই ব্যতিক্রমী শপিং ব্যাগটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।সিলেট নগরের বন্দরবাজারের লালবাজারে পাখি বিক্রয়কারীদের দিয়ে এই ব্যাগের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এসময় পাখি বিক্রি বন্ধে বিক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করা হয় এবং বিক্রেতাদের মাঝে ব্যাগটি বিতরণ করা হয়। এসব কয়েকজন পাখি বিক্রেতা আর পাখি বিক্রি করবেন না বলেও জানান।শপিং ব্যাগে লেখা বিবরণ থেকে জানা যায়, বাংলাদেশে মোট ৬৫০ প্রজাতির পাখি রয়েছে। এরমধ্যে ৩০ প্রজাতির পাখি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আরো বেশ কয়েক প্রজাতি বিলুপ্ত প্রায়। অবাধে শিকারের ফলে পাখিরা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পাখি শিকার বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। স্লোগানের সত্ত্বাধিকারী নাট্যকর্মী উজ্জ্বল চক্রবর্তী বলেন, পাখির প্রতি মানুষের মনে ভালোবাসা সৃষ্টি ও পাখি শিকার বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে `পাখির জন্য ভালোবাসা` শিরোনামে শপিং ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, স্লোগান তার সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে। এর আগেও বিজয়ের চল্লিশ বছর, চে গুয়েভারা, ঘড়িঘরের ১৪০ বছর, নদী বাঁচাও, রানা প্লাজা, সেইভ গ্রিন সেইভ রাতারগুল শিরোনামে শপিং ব্যাগ তৈরি করি।‘পাখির জন্য ভালোবাসা’ শপিং ব্যাগের ডিজাইনার নাট্যকর্মী অরুপ বাউল জাগো নিউজকে বলেন, আবহাওয়াজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রচুর সংখ্যক অতিথি পাখি আসে। কিন্তু অবাধে শিকারের কারণে অতিথি পাখি আসার পরিমাণ এখন অনেক কমে গেছে। আমরা সচেতন হলেই বাংলাদেশ পাখিদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠতে পারে। এই চিন্তা থেকেই `পাখির জন্য ভালোবাসা` শিরোনামে শপিং ব্যাগ ডিজাইন করেছি।শনিবার বিকেলে শপিং ব্যাগটির মোড়ক উন্মোচনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক উজ্জ্বল মেহেদী, গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু, দৈনিক সবুজ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত বার্তা ও জাগো নিউজের সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক ছামির মাহমুদ, ভূমিসন্তান বাংলাদেশের সমন্বয়ক আশরাফুল কবীর, স্লোগানের সত্ত্বাধিকারী উজ্জ্বল চক্রবর্তী, শপিং ব্যাগের ডিজাইনার অরুপ বাউল, সাংবাদিক আনিস রহমান, মামুন হোসেন, শহিদুল ইসলাম, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক সপ্তর্ষি দাস, সাংগঠনিক সম্পাদক দিপঙ্কর দাশগুপ্ত, রণি তালুকদার, নাট্যকর্মী বর্ষন, কচি প্রমুখ।    ছামির মাহমুদ/এমজেড/এমএস

Advertisement