লাইফস্টাইল

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করবে নারিকেল তেল

আপনি যদি প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগেন, তবে নিশ্চয়ই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরণের ঘরোয়া প্রতিকারের চেষ্টা করেছেন। কোষ্ঠকাঠিন্যের ঘরোয়া প্রতিকারের অভাব নেই। তবে এই সবরকম প্রতিকারের উপায় চেষ্টা করেও যদি আপনার পেটের অবস্থা ঠিক না হয়, সেক্ষেত্রে নারিকেল তেলকে আপনার সেরা প্রতিকারের উপায় হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।

Advertisement

নারিকেল তেল এবং কোষ্ঠকাঠিন্যনারিকেল তেল এমন একটি সুপারফুড যার বিজ্ঞান এবং আয়ুর্বেদ উভয় প্রক্রিয়ায় আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। চুলের বৃদ্ধি থেকে ওজন হ্রাস পর্যন্ত নারিকেল তেল সবকিছুর জন্য উপকারী। এই উপকারিতার দীর্ঘ তালিকায় আরও একটি সংযোজন হলো কোষ্ঠকাঠিন্য।

নারিকেল তেলে মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (এমসিএফএস) প্রচুর রয়েছে, যা অন্ত্রের বা পেটের গতিবিধি ঠিক করতে এবং মলকে নরম করতে সহায়তা করে। এমসিএফএসগুলো মিডিয়াম-চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটি)-তে পাওয়া যায় এবং এটি ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ফর্ম যার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।

নারিকেল তেল কীভাবে কাজ করেনারিকেল তেল পেটের ভেতরের অংশকে পিচ্ছিল করে তোলে যা সহজে শরীরের মাঝে চলাচল করতে সহায়তা করে, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। অন্য এক তথ্য অনুসারে, নারিকেল তেল বিপাক বৃদ্ধি করতে পারে। ফলস্বরূপ শরীর থেকে অতিরিক্ত বর্জ্য অপসারণ করে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে। তবে, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং নারিকেল তেল গ্রহণের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সম্পর্ক স্থাপনের জন্য খুব বেশি গবেষণা করা হয়নি।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে কীভাবে নারিকেল তেল খাবেন?ভার্জিন নারিকেল তেল কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য সেরা প্রতিকার হিসেবে বলা হয়। এই জাতীয় নারিকেল তেল তাজা নারিকেলের দুধ থেকে নেয়া হয় এবং এটি শতভাগ প্রাকৃতিক। যারা বেশিরভাগ সময় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো যন্ত্রণায় ভোগে, তাদের প্রতিদিন এক বা দুই চামচ নারিকেল তেল খাওয়া বেশ উপকারী বলে।

দ্রুত উপকারের জন্য নারিকেল তেল দুটি উপায় খেতে পারেন। প্রতিদিন সকালে এক চামচ নারিকেল তেল গিলে ফেলতে পারেন বা সকালে কফি বা একগ্লাস জুসে মিশিয়ে খেতে পারেন। তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, সেই নারিকেল তেল যেন ভক্ষণযোগ্য হয়।

নারকেল তেল গ্রহণ নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। তবুও, যদি আপনার কোনো দীর্ঘস্থায়ী রোগ থাকে কিংবা আপনি গর্ভবতী হন বা বুকের দুধ খাওয়ান তবে এই ঘরোয়া প্রতিকারটি ব্যবহার করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

মামুন খান/এইচএন/এএ/জেআইএম

Advertisement