ধর্ম

কুরআন তেলাওয়াতে দ্বিগুণ সাওয়াব পাবেন যারা

ইবাদত-বন্দেগির মধ্যে কুরআন তেলাওয়াত অনেক মর্যাদাসম্পন্ন। যে ব্যক্তি কুরআন তেলাওয়াত করবে, তিনি প্রতিটি হরফের বিনিময় এমন একটি করে নেকি পাবেন। আর প্রতিটি নেকিই ১০ নেকির সমতুল্য। কিন্তু যারা তেলাওয়াত করতে পারে না কিংবা তেলাওয়াত করতে কষ্ট হয়, তাদের তেলাওয়াতের বিনিময় কী হবে?

Advertisement

এমন অনেকেই আছেন-

যারা ভালোভাবে তেলাওয়াত করতে না পারার কারণে তেলাওয়াত করতে চান না। না তা ঠিক নয়, কেননা থেমে থেমে তেলাওয়াত করার রয়েছে অসামান্য ফজিলত। যাদের তেলাওয়াত করতে কষ্ট হয়, তাদের জন্য হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অনেক বড় ফজিলত ঘোষণা করেছেন। তারা পাবেন দ্বিগুণ সাওয়াব। হাদিসে এসেছে-

হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, কুরআনের হাফেজ পাঠকের (যারা বিশুদ্ধ ও সাবলীলভাবে কুরআন পাঠ করতে পারে, তাদের) মর্যাদা হলো সম্মানিত লিপিকর ফেরশতাদের মতো।

Advertisement

আর যারা (পাকা হেফজ না থাকার কারণে) খুব কষ্টদায়ক হওয়া সত্ত্বেও (থেমে থেমে ওঁ ওঁ করে) যে বারবার কুরআন মাজিদ পাঠ করে, তার এ কষ্টকর তেলাওয়াতের জন্য রয়েছে দ্বিগুণ সাওয়াব।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহামদ)

কালেমায় বিশ্বাসী সব মুমিন মুসলমানের জন্য কুরআন শেখা এবং তেলাওয়াত করা জরুরি। একান্তই যারা তেলাওয়াত করতে পারে না, তাদের জন্য কুরআন তেলাওয়াত শেখার চেষ্টা করা আবশ্যক। আর যারা ভালোভাবে কুরআন তেলাওয়াত করতে পারে না, তাদের জন্য কষ্ট করে হলেও থেমে থেকে কুরআন তেলাওয়াত করা জরুরি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সব নেয়ামত ও ফজিলত লাভ করার তাওফিক দান করুন। থেমে থেমে কষ্ট করে হলেও কুরআন তেলাওয়াত করে দ্বিগুণ সাওয়াব লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

Advertisement