দেশজুড়ে

শিশু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন আজ

শিশু রাজন হত্যা মামলার তোড়জোড়ে অনেকটাই আলোচনার বাইরে চলে গেছে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলা। অনেকটাই শ্লথ হয়ে পড়েছে এই হত্যা মামলার বিচার কাজ। অবশেষে হত্যার আট মাস পর আজ রোববার সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করার কথা রয়েছে। একই সাথে আজ ঘোষিত হবে শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলার রায়। হত্যাকাণ্ডের ৪ মাসের মধ্যে এই মামলার রায় ঘোষিত হতে যাচ্ছে।নারী ও শিশু নির্যাতন ট্র্যাইব্যুনাল আদালতে আবু সাঈদ হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন করা হবে। ২৯ অক্টোবর মামলার নির্ধারিত তারিখে সিলেট মহানগর হাকিম প্রথম আদালত থেকে সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে এ মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। আজ রোববার এ মামলার চার্জ গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী আব্দুল মজিদ খান মানিক। গত ২৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সিলেট মহানগর হাকিম ১ম আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করেন মহানগর পুলিশের সহকারি কমিশনার (প্রসিকিউশন) আবদুল আহাদ চৌধুরী। মামলাটি তদন্ত করেন কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসাইন।অভিযোগপত্রে চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযুক্তরা হচ্ছে, এসএমপির এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল (বরখাস্তকৃত) এবাদুর রহমান পুতুল, র‌্যাবের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা, সিলেট জেলা ওলামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রাকিব ও প্রচার সম্পাদক মাহি হোসেন মাছুম। এর মধ্যে মাছুম পলাতক ও বাকিরা কারান্তরীন রয়েছেন। গত ৭ অক্টোবর অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেন।গত ১১ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরীর রায়নগর থেকে স্কুলছাত্র আবু সাঈদকে (৯) অপহরণ করা হয়। এরপর ১৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের কুমারপাড়াস্থ ঝর্ণারপাড় সবুজ-৩৭ নং বাসার ছাদের চিলেকোঠা থেকে সাঈদের সাতটি পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় এয়ারপোর্ট থানার কনস্টেবল এবাদুর, র‌্যাবের সোর্স গেদা ও ওলামা লীগ নেতা রাকিবকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় ওলামা লীগের আরেক নেতা মাছুম।এদিকে, গ্রেফতারের পর এবাদুর, গেদা ও রাকিব তিনজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। তারা সাঈদ হত্যার সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে।নিহত আবু সাঈদ রায়নগর হযরত শাহ মীর (র.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র ও একই এলাকার দর্জিবন্দ বসুন্ধরা ৭৪ নম্বর বাসার আব্দুল মতিনের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার এড়ালিয়াবাজারের খশিলা গ্রামে।    ছামির মাহমুদ/এআরএস

Advertisement