পাখি জামা, পাখি লিপস্টিক, পাখি জুতা; কি না বের হয়েছিলো পাখির জনপ্রিয়তাকে পূঁজি করে। ভারতীয় বাংলা একটি চ্যানেলের সিরিয়ালের চরিত্রের এমন জনপ্রিয়তা খুব একটা আর দেখা যায়নি। বোঝে না সে বোঝে না’ সিরিয়ালে পাখির চরিত্রে অভিনয় করে বাংলা ভাষাভাষি ছড়িয়ে আছে বিশ্বের এমন প্রায় সব দেশেই জনপ্রিয়তা পেয়েছেন মধুমিতা সরকার।
Advertisement
তবে মনটা তার ভালো নেই। তিনি বিরক্ত হয়ে আছেন পশ্চিমবঙ্গের মিডিয়ার নানা চাপে। কখনো শোনা যায় তার মৃত্যু সংবাদ, কখনো রটানো হচ্ছে যখন তখন যার-তার সঙ্গে প্রেমের খবর। আনন্দবাজারে তিনি এসব নিয়েই মুখ খুলেছেন। বলেছেন মনের জমে থাকা যত কথা।
মধুমিতা বলেন, ‘ছবিতে কাজ করা, সিনেমা নিয়ে পড়াশোনা- আমি এ সবের মধ্যেই থাকি। কোনো পার্টিতে যাই না। নিজের মধ্যেই থাকি সবসময়। তা-ও একের পর এক আমাকে নিয়ে যা নয় তাই লেখা হচ্ছে। আমাকে কিছু জিজ্ঞাসাও করা হচ্ছে না!’
‘এই তো, পূজার পর কাজের সূত্রে এক ব্যক্তির সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করতে গেলাম। মিডিয়া লিখে দিল, আমি নাকি তার সঙ্গে প্রেম করছি। আমাকে একবার জিজ্ঞাসাও করলো না।’
Advertisement
জন্মদিনটাও বাড়িতে বসেই কাটিয়ে দিলেন। কেন? তার জবাবে মধুমিতা বললেন, ‘আজ যদি ৩ জন বান্ধবীর সঙ্গেও বাইরে যাই, লোকে লিখে দেবে মধুমিতা শুধু মেয়েদের সঙ্গেই থাকেন! মিডিয়া নতুন করে প্রচারে নামবে।’
মিডিয়ার ‘একপেশে ভিত্তিহীন প্রচার’ তার ওপর মানসিক চাপ তৈরি করছে বলে দাবি করেন তিনি। এখনও তাকে লোকে ‘বোঝে না সে বোঝে না’-র ‘পাখি’ বলেই জানে। সেই ‘কেয়ার করি না’ থেকেই দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ‘কুসুমদোলা’-র ইমনকে নিয়ে লোকে এখনও পাগল। কিন্তু মধুমিতা বিরক্ত ‘পাখি’ হিসেবে একপেশে পরিচিতিতে।
এ অভিনেত্রীর বক্তব্য, ‘একজন অভিনেত্রী কি সারাজীবনই ‘পাখি’ বা ‘ইমন’ হয়ে থেকে যাবে! শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, সাধারণ মেয়ে- এ ভাবেই থেকে যাবে! তা কি হয়? সে তো নিজেকে ভাঙবে।’ বোঝাই যাচ্ছে তিনি আর চান না পাখি নামে পরিচিত হতে। সালোয়ার-কামিজের মধ্যবিত্ত পরিবারের লক্ষী বউ পাখি এখন নিজেকে মেলে ধরতে চান আধুনিকতার সবটুকুতে। তিনি নিজেকে ভাঙতে চান বৈচিত্রময় কাজের চাহিদায়।
সেই ভাঙার শুরু প্রতীম ডি দাশগুপ্ত-র ‘লাভ আজ কাল পরশু’ থেকে। সম্প্রতি শেষ করলেন মৈনাক ভৌমিকের ছবি ‘চিনি’। শিগগিরই শুরু হবে হইচই সিরিজে ‘দেবদাস ও একটি খুনের গল্প’। মধুমিতা আর অর্জুন আবার একসঙ্গে কাজ করবেন এখানে।
Advertisement
এলএ/এমকেএইচ