বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায় ঘোষণা করা হবে আজ। জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমানের এ রায় ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আলোচিত এই রায় ঘিরে জেলা ও উপজেলা শহরসহ, আদালত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
Advertisement
বরগুনা শিশু আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, ‘রিফাতের রায়ের দিকে গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আছে। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছে। প্রত্যেক আসামির সর্বোচ্চ সাজা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
রায় ঘিরে মঙ্গলবার রাত থেকে বরগুনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ। এছাড়া র্যাব সদস্যদের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও টহল দিচ্ছে বরগুনায়।
রায়কে ঘিরে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়াটার্স) মহরম আলী বলেন, রায় ঘিরে বরগুনায় আমরা ব্যাপক নিরাপত্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। জেলাজুড়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছে পুলিশ সদস্যরা।
Advertisement
বিশেষ করে আদালত প্রাঙ্গণে থাকবে আমাদের কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। সরকারি গাড়ি ছাড়া কোনো যানবাহন আদালত প্রাঙ্গণে ঢুকতে পারবে না বলেও জানান তিনি।
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দু’পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
Advertisement
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/জেআইএম