জাতীয়

লক্ষ্মীবাজারে ফুটপাতে জমজমাট ব্যবসা

পুরান ঢাকার মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় ও পোশাক-আশাক কেনাকাটার অন্যতম স্থান লক্ষ্মীবাজার। সূত্রাপুর, শাখারী বাজার, কলতাবাজার, বাংলাবাজার এই অঞ্চলের মানুষের কেনাকাটার চাহিদা অনেকটাই পূরণ করে আসছে লক্ষ্মীবাজারের ফুটপাতের অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রচুর ভিড় ও জনসমাগম হচ্ছে, বেচাকেনার হিড়িক পড়ছে লক্ষীবাজারের ফুটপাতগুলোতে। করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কম হলেও বেচাকেনায় ফিরছে ক্রেতা বিক্রেতারা। চাহিদা অনুযায়ী তাদের পছন্দের জিনিসপত্র কম মূল্যে কিনতে পারছেন ফুটপাত থেকে।

Advertisement

সরেজমিনে দেখা যায়, পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজার সংলগ্ন ফুটপাতে সব বয়সী নারী-পুরুষ-শিশুদের রঙ-বেরঙের জামা-কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে। সালোয়ার-কামিজ, থ্রিপিস, টপস, বোরকা, শাড়ি, ব্যাগ, নেইলপলিশ, লিপস্টিক, কাজল, চুড়ি, ফিতা, ক্লিপ, শার্ট, টি-শার্ট, পাঞ্জাবি, প্যান্ট, লুঙ্গি, ফতুয়া, জুতাসহ ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের আসবাবপত্র মিলছে ফুটপাতে।

এই ফুটপাতে নিম্নবিত্ত কিংবা মধ্যবিত্তদের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও এসে ভিড় করছেন। সন্ধ্যার পর শুরু হয় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। ঢাকা শহরের বড় বড় শপিং কমপ্লেক্স ও বিপণি বিতানের পাশাপাশি জমজমাট হয় ফুটপাতের এই অস্থায়ী দোকানগুলো।

ক্রেতারা ফুটপাতের এই দোকানগুলো থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী কম দামে পছন্দ মতো পোশাক কিনছেন। সালোয়ার- কামিজ, টপস, ওয়ান পিস, টুপিস, থ্রিপিস, শাড়ি, বোরকা পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন দামে। ফুটপাতে ১০০ টাকা থেকে ৭০০/৮০০ টাকার মধ্যে স্যান্ডেল-জুতাও পাওয়া যাচ্ছে। মানভেদে পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। শার্ট ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা, প্যান্ট ২০০ থেকে ৭০০ টাকা, টি-শার্ট ১২০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের শার্ট, ফতুয়া, প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। দাম ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা।

Advertisement

লক্ষ্মীবাজারের ফুটপাতে খুচরা পোশাক ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, 'ফুটপাতে আমরা অস্থায়ী, অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ও প্রভাবশালীদের চাঁদা দিয়ে আমরা ব্যবসা করি। ভাইরাসের কারণে বেচাকেনা হয়নি, দুর্গাপূজা উপলক্ষে এখন মোটামুটি বেচাকেনা হচ্ছে। আমরা কম মূল্যে চাহিদা অনুযায়ী ভালো জিনিস দেওয়ার চেষ্টা করি। যার ফলে সব শ্রেণি-পেশার ক্রেতা আমাদের কাছে আসে। তবে, করোনার কারণে অন্যান্য সময়ের চেয়ে এবার ক্রেতাদের তেমন সাড়া নেই।

ফুটপাতে কসমেটিক্স ও প্রসাধনী বিক্রেতা আব্দুর রহিম বলেন, করোনায় লকডাউনের পর বেচাবিক্রি কিছুটা হচ্ছে। কম দামেই ছেড়ে দিতে হচ্ছে বিভিন্ন সামগ্রী।

এনএফ/জেআইএম

Advertisement