মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে প্রথম ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের সাদা জার্সির অধিনায়ক মুশফিকের অনবদ্য ১০৭ রানে নয় উইকেটে ২৭৩ সংগ্রহ করে স্বাগতিকরা। জবাবে সাকিব আল হাসানের পাঁচ উইকেটে শিকারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান করলে ১৪৫ রানের বড় জয় পায় টাইগাররা।বাংলাদেশের দেয়া ২৭৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল জিম্বাবুয়ে। প্রথম উইকেট জুটিতে ৪০ রান সংগ্রহ করে দারুণ জবাব দিচ্ছিল সফরকারীরা। তবে দশম ওভারে সাকিব বল করতে আসার পর খেই হারিয়ে ফেলে তারা। প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন ওপেনার চিভাবাকে। তবে এই উইকেটে প্রায় বিশ গজ দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নেয়া লিটন দাসের কৃতিত্বও কম নয়।পরের ওভারেই সাকিব ফেরান প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলা ক্রেইগ আরভিনকে। ১৫ তম ওভারে জংউইকে ফিরিয়ে আঘাত হানেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আল আমিন হোসেন। তিন ওভার পর ফর্মে থাকা শেন ইউলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে নিজের তৃতীয় শিকার করেন সাকিব।এরপর দেশ সেরা পেসার অধিনায়ক মাশরাফির অধ্যায়। ২৬ এবং ১৮ তম ওভারে সিকান্দার রাজা এবং ম্যালকম ওয়ালারকে ফিরিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন জিম্বাবুয়েকে।৩৪ তম ওভারে আবার বল করতে এসে ক্রেমারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। নিজের পরের ওভারের পঞ্চম বলে তিনাশে পানিয়াঙ্গারাকে বোল্ড করে ক্যারিয়ারে প্রথম বারের মত পাঁচ উইকেট লাভ করেন সাকিব আল হাসান। ৩৭তম ওভারে নাসির হোসেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে ১৪৫ রানের বড় জয় পায় বাংলাদেশ।এর আগে শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করে স্বাগতিকরা। তবে ৩০ রানেই লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। ৩টি চার এবং ২টি ছাক্কায় ৬৮ বল মোকাবেলা করে ৪০ রান করেন তামিম।এরপর দ্রুত সাকিব বিদায় নিলে ১২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পরা বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। এই দুই ব্যাটসম্যান ১১৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সন্মানজনক স্থানে পৌঁছে দেন। তবে দলীয় ২৪২ রান থেকে ১ রান যোগ করতে মাত্র ছয় বলে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।ক্রেমারের দুটি সরাসরি থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়েন সাব্বির রহামান ও মুশফিকুর রহিম। সাব্বিরের ৫৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার। আর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে ১০৯ বলে ৯টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ রান করেন মুশফিক।শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি ১টি ছক্কা ও ১টি চার এবং আরাফাত সানি ৩টি চারে ১৪ রান করে করলে ২৭৩ রানের বড় সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ দল।জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা এবং মুজারাবানি ২টি উইকেট পান যথাক্রমে ৪৭ এবং ৬৩ রানে। এছাড়া তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও লুক জংউই পান ১টি করে উইকেট।
Advertisement
আরটি/এমআর