ইনিংসের ২২ তম ওভারে বোলিংয়ে এসেছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ও দেশ সেরা পেসার মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে নিজের তৃতীয় আর চতুর্থ ওভারে জোড়া আঘাত হানলেন এই পেসার। দারুণ এক আউটসুইঙ্গারে সিকান্দার রাজাকে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দী করার পরের ওভারে ওয়ালারকে নাসিরের তালুবন্দি করান টাইগার অধিনায়ক।এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ২১ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৩ রান। উইকেটে রয়েছেন এল্টন চিগুম্বুরা ১৭* এবং ক্রিমার ০* রানে।এর আগে ১৮তম ওভারের শেষ বলে ফর্মে থাকা শেন ইউলিয়ামসকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব। এর তিন ওভার আগেই দলের হয়ে আঘাত হানেন দীর্ঘদিন পর দলে ফেরা আল আমিন হোসেন। ১৫তম ওভারের শেষ বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন লুক জংউই। ৫১ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৯ রান করেছেন এই জিম্বাবুইয়ান।তবে এর আগে জোড়া আঘাতে বাংলাদেশ দলকে খেলায় এনেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ খেলা ক্রেইগ আরভিনকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এনে দেন এই অলরাউন্ডার।১৪তম ওভারের প্রথম বলে মিড অফে দাঁড়ানো নাসির হোসেনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন ক্রেইগ আরভিন। দলের প্রথম উইকেটও সাকিব দশম ওভারের প্রথম বলেই পেয়েছেন। তবে সএই উইকেটে লিটন দাসের কৃতিত্বও কম নেই। প্রায় বিস গজ দৌড়ে এসে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন তিনি।এই ক্যাচ নিতে লং অন থেকে দৌড়ে এসেছিলেন নাসির হোসেনও। তবে শেষ মুহূর্তে সামান্য সংঘর্ষ হলেও ক্যাচ লুফে নিতে কোন ভুল করেননি লিটন।এর আগে শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করে স্বাগতিকরা। তবে ৩০ রানেই লিটন দাস এবং মাহমুদউল্লাহকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন তামিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। সিকান্দার রাজার বলে লং অনের উপর দিয়ে ছয় হাকাতে গিয়ে লুক জংউইর হাতে ধরা পরার আগে ৪০ রান সংগ্রহ করেন তামিম। ৩টি চার এবং ২টি ছাক্কায় সাজানো এই রান করতে বল মোকাবেলা করেছেন ৬৮টি।এরপর উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পাড়েন নি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিবও। ১২৩ রানে চার উইকেট হারিয়ে চাপে পরা বাংলাদেশ দলকে উদ্ধার করেন দেশসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমান। এই দুই ব্যাটসম্যান ১১৯ রানের জুটি গড়ে দলকে সন্মানজনক স্থানে পৌঁছে দেন। তবে দলীয় ২৪২ রান থেকে ১ রান যোগ করতে মাত্র ছয় বলে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।ক্রেমারের দুটি সরাসরি থ্রোতে রানআউটে কাটা পড়েন সাব্বির রহামান ও মুশফিকুর রহিম। সাব্বিরের ৫৮ বলে ৫৭ রানের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার। আর ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে ১০৯ বলে ৯টি চার এবং ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০৭ রান করেন মুশফিক।শেষ দিকে অধিনায়ক মাশরাফি ১টি ছক্কা ও ১টি চার এবং আরাফাত সানি ৩টি চারে ১৪ রান করে করলে ২৭৩ রানের বড় সংগ্রহই পায় বাংলাদেশ দল।জিম্বাবুয়ের পক্ষে সিকান্দার রাজা এবং মুজারাবানি ২টি উইকেট পান যথাক্রমে ৪৭ এবং ৬৩ রানে। এছাড়া তিনাশে পানিয়াঙ্গারা ও লুক জংউই পান ১টি করে উইকেট।
Advertisement
আরটি/এমআর