ইতালিতে মাঝে মহামারি করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ কমে গেলেও গত কয়েক সপ্তাহে আবার বেড়েছে। এতে নতুন করে ফের কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে ইতালি সরকার। করোনা সংক্রমণের লাগাম টানতে আগামীকাল সোমবার থেকে বন্ধের আওতায় আসছে জনসমাগম বেশি হয়-এমন সব জায়গা। এসব জায়গার তালিকায় রয়েছে সিনেমা হল, সুইমিং পুল ও ব্যায়ামাগার।
Advertisement
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় বার ও রেস্তোরাঁ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এরপর বন্ধ করে দিতে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে দোকানপাট ও বেশিরভাগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা যাবে।
খবরে বলা হয়েছে, আঞ্চলিক নেতারা ও প্রধানমন্ত্রী গিসেপে কন্তে উভয়ই নতুন নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে একমত হয়েছেন। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, করোনার প্রথম ধাক্কার সময় (মার্চ-এপ্রিলে) দেশজুড়ে লকডাউন জারি করা হলেও অর্থনৈতিক ক্ষতি এড়াতে এবার নতুন করে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হবে না।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোর ক্লাস শ্রেণিকক্ষের পরিবর্তে অনলাইনে পরিচালিত হবে।
Advertisement
শনিবার ইতালিতে নতুন করে ১৯ হাজারের বেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন আরও ১৫১ জন।
দেশটিতে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ চার হাজার ৫০৯ জন। আর মারা গেছেন ৩৭ হাজারের বেশি। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন দুই লাখ ৬৪ হাজার।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনার প্রকোপ ধরা পড়ে। অপরদিকে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতেই প্রথম করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। এমনকি সে সময় করোনার হানায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইতালি।
দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে লকডাউন জারি করে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং লোকজনের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। ফলে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। তবে সম্প্রতি সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
Advertisement
এই অবস্থায় ইতালির বিভিন্ন রাজ্যের মেয়রদের বেশ কিছু বিষয়ে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থানের রেস্টুরেন্ট খোলা এবং বন্ধ করার নির্দেশ দিতে পারবেন তারা। এছাড়া জনসমাগমেও তারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবেন বা কি পরিমাণ লোকজন সমবেত হতে পারবেন তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
এদিকে সরকার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করায় বিক্ষোভ করেছে ইতালির জনগণ। ন্যাপলস, রোমে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসআর/জেআইএম