আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল-কায়েদার শীর্ষস্থানীয় নেতা আবু মুহসীন আল-মাসরি। মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী তালিকায় ছিলেন তিনি। আফগান গোয়েন্দা বাহিনীর বরাতে রোববার এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
Advertisement
আল-মাসরি মিসরের নাগরিক। আল-জাজিরা বলছে, ধারণা করা হয়, তিনি আল-কায়েদার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিরেক্টরেট অব সিকিউরিটি (এনডিএস) শনিবার শেষরাতে এক টুইট বার্তায় জানায় মধ্য গজনি প্রদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি বিশেষ অভিযানে নিহত হয়েছেন আল-মাসরি।
অর্থ ও সরঞ্জাম দিয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা এবং মার্কিন নাগরিকদের হত্যার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে হুশাম আবদ-আল-রাউফ নামেও পরিচিতি আল-মাসরি বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র। এর পর তাকে হত্যার জন নানা অভিযান চলছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল কাউন্টার টেররিজম সেন্টারের প্রধান ক্রিস মিলার এক বিবৃতিতে আল-মাসরি নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্র থেকে তার অপসারণ সন্ত্রাসী সংগঠনটির জন্য বড় ধরনের বিপর্যয়। এই সংগঠনটি ক্রমাগতভাবে যুক্তরাষ্ট্র তার অংশীদারদের কৌশলগত ক্ষতি করছিল।’
Advertisement
গত মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেন, দুইশোর কম আল-কায়েদা সদস্য এখনও আফগানিস্তানে রয়েছে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের শিক্ষাকেন্দ্রে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হওয়ার দিনই আল-মাসরির নিহত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হলো। ওই হামলায় আরও ৫৭ জন আহত হয়েছেন।
এসএ/এমএস