এক পাকিস্তানি গুপ্তচরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজস্থানের পুলিশ। ওই গুপ্তচর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে।
Advertisement
রাজস্থান পুলিশ বলছে, বারমেরে এলাকা থেকে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের এক সক্রিয় সদস্য ধরা পড়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিকে জয়পুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাজস্থান পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার পাক গুপ্তচর ধরা পড়ল।
চলতি মাসের শুরুর দিকে মহারাষ্ট্রের অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডের (নাসিক ইউনিট) হাতে ধরা পড়ে আরও এক পাক চর। ওই ব্যক্তি হ্যালের কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।
এদিকে, গত জুনে পাকিস্তানের দূতাবাসের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করছিল। এদের আগেই শনাক্ত করেছিলেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।
Advertisement
চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ দিক থেকে এদের ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন গোয়েন্দারা। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে তথ্য পাচার করা হচ্ছে বলে জানতে পারেন কর্মকর্তারা।
আবিদ হুসেন ও তাহির খান নামের দুই ব্যক্তিকে হোয়াটসঅ্যাপেই ফাঁদে ফেলে আটক করা হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর অপেক্ষাকৃত কমবয়সী কর্মকর্তাদের টার্গেট করেছিল ওই দুই ব্যক্তি।
তাদের কাছ থেকে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করা হত বলে জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনীর জওয়ানদের যাতায়াতের রুট, কি কি অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে বা আমদানি করা হচ্ছে, তা জানার চেষ্টা করা হতো।
কয়েকদিন আগেই ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, বালাকোটে ভারতীয় সেনাবাহিনী যেভাবে সেখানকার জঙ্গি ঘাঁটি ধংস্ব করে এসেছিল তারপরেও সেখানে জঙ্গি ঘাঁটি তৈরি করা হচ্ছে। ৮ মাস আগে ভারতীয় বিমানবাহিনী বালাকোটে সার্জিকাল স্ট্রাইক চালিয়েছিল। ধ্বংস্ব হয়েছিল একের পর এক ঘাঁটি।
Advertisement
ভারতীয় গোয়েন্দাদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বালাকোটে ফের জঙ্গি ঘাঁটি গড়ে তুলেছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। তাদের দাবি, এ কাজে সাহায্য করছে জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ ই মুহাম্মদের শীর্ষ কমান্ডাররা।
আফগানিস্তানে একাধিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পেছনে এই কমান্ডারদের হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা। ওই জঙ্গি নেতারা ভারতের মাটিতে হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, শীর্ষ জইশ নেতা জুবের নতুন করে জঙ্গি দলে নিয়োগ শুরু করেছেন। এসব যুবকদের ভারতে হামলা চালানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
আফগানিস্তানে ন্যাটো ফোর্সের ওপর হামলা চালিয়েছিল জুবের। বালাকোটে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম। এটি ব্যবহার করবে জইশ ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠী। ভারতের দাবি, সীমান্তে পাক সেনাবাহিনীর হামলা, জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের মত ঘটনা পরিচালনা করা হবে সেখান থেকেই।
টিটিএন