যুক্তরাষ্ট্রে টানা তিনদিন ধরে করোনা সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে। দেশটিতে নতুন করে দৈনিক সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার নতুন করে দেশটিতে আরও ৮৩ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
Advertisement
মার্কিন চিকিৎসক জেরোম অ্যাডামস সতর্ক করে বলেছেন, দেশটির হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। তবে ভালো চিকিৎসা সেবার কারণে মৃত্যুহার কমেছে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে, করোনা মহামারির কারণে উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত দেশগুলো ভয়াবহ সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে।
সংস্থাটির প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রিয়েসুস সাংবাদিকদের বলেন, আগামী কয়েক মাস বেশ কঠিন সময়। বেশ কিছু দেশ ভয়াবহ বিপজ্জনক অবস্থার মুখে পড়তে পারে।
Advertisement
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ধারে-কাছে নেই কোনো দেশ। ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৭ লাখ ৪৬ হাজার ৯৫৩।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ২ লাখ ২৯ হাজার ২৮৪ জন। তবে ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ১৬১ জন। দেশটিতে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ২৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০৮ এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে ১৬ হাজার ৩২৩ জন।
মাঝে কিছুদিন সংক্রমণ কম থাকলেও সম্প্রতি দেশটিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দেশটিতে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৬৪০ জন। এদিন সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯২১ জনের।
Advertisement
এনবিসি নিউজের দেয়া তথ্যমতে, এর আগে গত ২১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে ৭৫ হাজার ৭২৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ গত তিনদিন ধরেই সংক্রমণ একের পর এক রেকর্ড করেছে।
করোনায় বিপর্যয় শুরু হলেও প্রথম থেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি নিজে করোনায় আক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে তাকে খুব একটা উদ্বিগ্ন হতে দেখা যায়নি। করোনার চেয়ে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি।
টিটিএন/এমএস