গণতন্ত্রের নামে ছেলেখেলা করে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
Advertisement
তিনি বলেছেন, বর্তমান সময়ে একটি ভিন্ন নামে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। আজকে জনগণকে প্রকৃত মানবিক এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র দিতে হবে। সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুষ্ঠু গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের মুক্তির কোনো পথ নেই।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল ও নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচি’তে ডা. জাফরুল্লাহ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের অনেকেই বিশ্বাস করে, প্রচার করা হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের ধাত্রী এবং তিনি গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার সকল কার্যকলাপ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিরোধী। রাজনীতি করার এবং বক্তব্য দেয়ার অধিকার আমার আছে। কিন্তু সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না।
Advertisement
সরকারের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যতগুলো কাজ করছেন তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফাঁসির আইন করেছেন। এই ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়নি। আপনারা দেখেন আইন করার আগে এবং পরে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমেনি বরং বেড়েছে। বাড়তে বাড়তে এখন বাড়ির শিশু, মাদ্রাসা ও স্কুলেও হচ্ছে। এত বড় ভুল উনি কী করে করলেন? কারণ তিনি বন্দি আছেন, তিনি অন্তরীণ। গত এক বছরে তাকে কি কেউ পথে দেখেছেন? তাকে দেখে হাত নাড়তে পেরেছেন? কারণ তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে তিনি অত্যন্ত চিন্তিত।
জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনার সুস্থতা কামনা করি। আপনাকে আহ্বান করছি, আপনি অনুগ্রহ করে রাস্তায় আসেন। দেখেন এবং আমাদের কথা বলার অধিকারটুকু দেন। আর কিছু চাই না। আপনার দয়া আমরা চাই না, আমরা আমাদের অধিকার চাই। মানুষের অধিকার দিলে, প্রকৃত সত্য আপনি পাবেন। আপনার দেশ শাসনের সুবিধা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের অন্ধ নুরুল হুদা সাহেব আর কতদিন ক্ষমতায় থাকবেন জানি না। এই ভদ্রলোক নির্বিবাদে কীভাবে এত মিথ্যা কথা বলেন জানি না। খোদা তাকে দোজখে নিয়েও হয়তো খুশি হবেন না।
বিচারকদের উদ্দেশ্যে জাফরুল্লাহ বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে জজ সাহেবদের বিবেকবান করতে হবে। জজ সাহেবরা এত ভীত যে এখনো লুকিয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল কোর্ট করে বেড়ান।
Advertisement
কেএইচ/এইচএ/এমএস