বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই দমকাসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হচ্ছে ভারী বৃষ্টিপাত। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় দেখাতে বলা হয়েছে ৪ নম্বর বিপদ সংকেত।
Advertisement
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী এড়াতে বরগুনায় সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে ৫০৯ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ৭৪ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) বরগুনা সদর উপজেলার টিম লিডার মো. জাকির হোসেন মিরাজ বলেন, আমাদের সকল স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছেন। ইতোমধ্যেই তারা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রচারণা শুরু করেছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবীরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, 'দুর্যোগ মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার রাতেও আমার সভা করেছি। ওই সভার মাধ্যমে জেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়াও সম্ভাব্য স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে বরগুনায় ৫০৯ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।'
Advertisement
তিনি আরও বলেন, 'ঝড়ের সংকেত যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে আমরা স্থানীয় মানুষদের নিরাপদে নিয়ে আসার জন্য কাজ করবো। একই সাথে জেলায় ১৮টি খেয়াঘাটে যাত্রী পারাপারসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।'
মো. সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এনএফ/পিআর