দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। প্রথম দিনেই দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। আগেই অবশ্য এ নিয়ে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের সেই আশঙ্কাই সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। পূজা মণ্ডপে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে আদালত আদেশ দিলেও আদতে অনেক তা মানছেন না বলেই খবর।
Advertisement
করোনার প্রকোপে শীর্ষ বিপর্যস্ত দেশের তালিকায় ভারত দ্বিতীয়। তবে সেপ্টেম্বরে দেশটিতে করোনা সংক্রমণের চূড়া লক্ষ্য করা গেলেও অক্টোবর থেকে তা কমছিল। কিন্তু এ সপ্তাহ থেকে শুরু হয়ে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত দুর্গাপূজা, দিওয়ালির মতো উৎসবে সংক্রমণ বাড়বে বলে সতর্ক করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বৃহস্পতিবার দেয়া হালনাগাদ হিসাব অনুযায়ী গত একদিনে রাজ্যটিতে নতুন করে আরও ৪ হাজার ৬৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যটিতে মোট ৩ লাখ ৩৩ হাজারের বেশি করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৪৪ জন মারা গেছেন।
নয় দিনব্যাপী দুর্গাপূজায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গার প্রার্থনা করেন। এ ছাড়া আশপাশের পূজামণ্ডপগুলো ঘুরে দেখা ছাড়াও তারা অস্থায়ীভাবে তৈরি টেন্টে অবস্থান নিয়ে নাচগান ও আনন্দ উদযাপন করেন। আর এতে করেই করোনার মতো একটি সংক্রামক রোগের বিস্তারের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই শঙ্কা।
Advertisement
সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট পূজামণ্ডপগুলোতে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি আদেশ দেন। তাতে বলা হয় পূজা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ছাড়া আর কেউ মণ্ডপে ঢুকতে পারবেন না। কিন্তু বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মানুষ আদতে তা মানছেন না। তারা বৃহৎ পরিসরে জনসমাগম ঘটাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী চার দিন হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্য সরকারের উপদেষ্টা ড. অভিজিৎ চৌধুরি বলছেন, ‘অনেক মানুষ অযৌক্তিক আচরণ করছেন এবং বাজারেও ব্যাপক ভীড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এদের মধ্যে অনেকে ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধিও মেনে চলছেন না। ফলে আগামীতে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে।’
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement