আইন-আদালত

ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের অবস্থা অপরিবর্তিত

সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে আদ-দ্বীন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। এখনো তার অবস্থা অপরিবর্তিত বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। গতকাল তার অবস্থা জটিল বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন।

Advertisement

হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা তবিবুর রহমান আকাশ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাগো নিউজকে বলেন, ‘স্যারের অবস্থা আগের মতোই। উনি আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টেই আছেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল।’

তিনি আরও বলেন, ‘উনার চিকিৎসায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা দেখার পর হাসপাতালের মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিনের সঙ্গে পরামর্শ করে সবাইকে বিস্তারিত জানাবেন।’

এর আগে বুধবার (২১ অক্টোবর) ডা. নাহিদ ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘স্যারের অবস্থা মঙ্গলবার রাত থেকে খারাপের দিকে যায়। অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। এরপর থেকে তিনি সেখানে আছেন। তার অবস্থা ক্রিটিক্যাল। তবে তিনি সাড়া দিচ্ছেন।’

Advertisement

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনো আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।

Advertisement

২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।

বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটে। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই তার সঙ্গী।

এফএইচ/এসআর/পিআর