দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এর ঠিক ১০ দিন পর ১৮ মার্চ এই মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৪ জন ও নারী চারজন। এ নিয়ে সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৬৯৯ জন।
দেশের আট বিভাগের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ১২ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া চট্টগ্রামে তিনজন, খুলনায় একজন এবং রংপুর বিভাগে দুজনের মৃত্যু হয়। তবে এ সময়ে চার বিভাগে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বিভাগগুলো হলো- রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও ময়মনসিংহ।
এ পর্যন্ত করোনায় মৃত পাঁচ হাজার ৬৮১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে দুই হাজার ৯২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক হাজার ১৪১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩৬৫ জন, খুলনা বিভাগে ৪৫৮ জন, বরিশাল বিভাগে ১৯৭ জন, সিলেট বিভাগে ২৪০ জন, রংপুর বিভাগে ২৫৯ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৯ জন রয়েছেন।
Advertisement
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০টি পরীক্ষাগারে ১৫ হাজার ১৪৭টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৫ হাজার ১৪৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬৩৭ জন। ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৯০ হাজার ২০৬ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ লাখ ৭৮ হাজার ৭১৪টি।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৮ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
এ পর্যন্ত করোনায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৩৮৫ জন (৭৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ৩১৪ জন (২৩ দশমিক ০৬ শতাংশ)।
Advertisement
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঁচজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১১ জন ছিলেন।
এমইউ/এসআর/এমকেএইচ