আগামী বছরের শেষের আগে বিশ্বজুড়ে একশ কোটি সিরিঞ্জ মজুতের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। করোনাভাইরাসের যেকোনও সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের প্রয়োগের কাজে ব্যবহারের জন্য এসব সিরিঞ্জ মজুত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
Advertisement
জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ বলছে, চলতি বছরই ৫২ কোটি সিরিঞ্জ গুদামে মজুতের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তারা। ভ্যাকসিন আসার আগেই দেশগুলোতে প্রাথমিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে এই লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, বিশ্বে ভ্যাকসিনের ডোজের মতোই সমসংখ্যক সিরিঞ্জের দরকার হবে। ব্যবহৃত সিরিঞ্জের জন্য ৫০ লাখ সুরক্ষা বক্সও কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
সোমবার ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ছাড়িয়েছে। এছাড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ লাখের বেশি মানুষ।
Advertisement
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, বিশ্বজুড়ে করোভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম হবে মানব ইতিহাসের বৃহৎ গণউদ্যোগগুলোর অন্যতম একটি। ভ্যাকসিনের দ্রুত উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের এই কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, চলতি বছর শেষ হওয়ার আগেই ৫০ কোটির বেশি সিরিঞ্জ পূর্বপ্রস্তুত করে রাখা হবে। যাতে সেগুলো দ্রুত এবং ব্যয় সাশ্রয়ী হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উৎপাদন ও সমতার ভিত্তিতে বিতরণের লক্ষ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গঠিত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাতিসংঘের মুজত সিরিঞ্জ ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ফোর।
ভ্যাকসিন জোট গাভির নেতৃত্বে কোভ্যাক্সের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সিরিঞ্জের জন্য ইউনিসেফকে অর্থ পরিশোধ করবে গাভি। প্রাণঘাতী সব রোগের বিরুদ্ধে বিশ্বের অর্ধেক শিশুকে টিকা দিতে সহায়তা করে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বভিত্তিক ভ্যাকসিন জোট গাভি।
Advertisement
ইউনিসেফ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কার্যক্রমের জন্য যেসব সিরিঞ্জ মজুত করছে, সেগুলো পাঁচ বছর পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে বলে জানিয়েছে ইউনিসেফ।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্থা ডব্লিউএইচও বলছে, বর্তমানে করোনাভাইরাসের ৪২টি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষাধীন। এর মধ্যে অন্তত ১০টি ভ্যাকসিন তৃতীয় এবং শেষ ধাপের গণপরীক্ষায় রয়েছে। এছাড়া আরও ১৫৬টি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে প্রস্তুত হচ্ছে।
সূত্র: এএফপি।
এসআইএস/এমকেএইচ