রাজধানীর উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের হামলায় স্ত্রীসহ আহত হয়েছেন তাইওয়ানের এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের ১৪/এ রোডের ৮ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের। আহত ব্যবসায়ী ওয়াং মিং চি (৫৪) এবং তার স্ত্রী লিও লি হুয়া’কে (৫০)। পুলিশ জানিয়েছে, তারা দুজনেই মাথায় আঘাত পেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারের উপ কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম। তিনি জানান, আহত দুই বিদেশি নাগরিক গত ১০ বছর যাবৎ উত্তরার ৪ নং সেক্টরে বসবাস করে আসছেন। তিনি জানান, গাজীপুরের গাছা এলাকায় জিং জিন ইয়াং ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহত ওয়াং মিং চি ওই এবং তার স্ত্রীও একজন পরিচালক। যেখানে পিভিসি ডোর ও সিলিং তৈরি করা হয়। হামলা চালিয়ে ওই দম্পতির বাসা থেকে ৬ লাখ টাকা লুট করা হয়েছে বলে জানান তিনি। উত্তরা পূর্ব থানা পূলিশ সূত্র জানিয়েছে, কারখানার কয়েকজন কর্মচারী লেনদেনের জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। অ্যাপোলে হাসপাতালের ডিউটি ম্যানেজার চিন্ময় ভট্টাচার্জ জানান, হকিস্টিক দিয়ে তাদের আঘাত করা হয়েছে। ওয়াংলিচি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। তাকে ভেন্টিলেশনে অবজারবেশনে রাখা হয়েছে। কারখানার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) সমির হাসিব জানান, রাতে তিনজন লোক ওই ফ্লাটে প্রবেশ করে। এদের মধ্যে একজনের মুখোশ পরা ছিল। অন্যদুজন কারখানায় কন্টাকে কাজ করত, তারা হলেন রাজু ও সাজু। তাদের চিনে ফেলায় ওই দম্পতির ওপর হামলা চালায়। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তারা তাইওয়ানে থাকেন। খবর পেয়ে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন। পুলিশের উত্তরা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) বিধান ত্রিপুরা জাগো নিউজকে জানান, ধারণা করা হচ্ছে লেনদেন সংক্রান্তের জেরে তাদের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এ হামলা চালিয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনজন ওই ফ্লাটে ঢুকে এ হামলা চালায় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর নামে একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হামলার ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের পৃথকস্থানে দুই বিদেশি নাগরিক খুন ও চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকিতে হামলায় ২ পুলিশ হত্যার ঘটনায় দেশজুড়ে যখন তোলপাড় ঠিক তখই আবারো বিদেশি নাগরিকের উপর হামলা। হামলার ঘটনাটি রাতে ঘটলেও রাত পেরিয়ে দিনভর বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে ডিএমপির উত্তরা বিভাগ পুলিশ। তবে বিষয়টি গণমাধ্যমে নজরে আসে শুক্রবার বিকালে।জেইউ/এসকেডি/এমএস
Advertisement