করোনার কারণে ভরা মৌসুমেও আখের বিক্রি নেই। পাইকারি বাজারে আখের সরবরাহ কম থাকায় বেশি দামে কিনে খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। ভাইরাসের ভয় এবং অর্থ সঙ্কট দুই মিলে কমেছে আখের ক্রেতা। সার্বিকভাবে এ বছর ভালো নেই মৌসুমী আখ ব্যবসায়ীরা।
Advertisement
পটুয়াখালীর হেতালিয়া বাধঘাট এলাকার আখ বিক্রেতা সোহরাব গাজী বলেন, আমি সিজনাল ব্যবসা করি। অন্য বছরের তুলনায় এবছর বেচা-বিক্রি অনেক কম। করোনার কারণে এবছর ব্যবসায় মন্দা যাচ্ছে। বড়লোকেরা রাস্তায় বের হন না। আর সাধারণ মানুষের কাছে এখন কাজ নেই, টাকাও নেই। টাকা না থাকলে কিনবে কেমন করে?
গত বছরের তুলনায় এবছর পাইকারি আড়তে আখ কম আসে, সরবরাহ কম থাকার কারণে বেশি দামে কিনতে হয় বলেও জানান তিনি।
আখ কম আসা ও দাম বৃদ্ধির কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যে অঞ্চলে আখ উৎপাদন হয় সেখানে বন্যার কারণে ফলন কম। স্থানীয় আড়ৎ থেকে ডাকে ৩০ হাজার টাকার আখ কিনেছি। এই মাল বিক্রি করতে একমাস সময় লাগছে।
Advertisement
আখের দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, একটি আখ ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা পর্যন্ত খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন। প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার টাকার বিক্রি হয়। এর থেকে এক হাজার টাকা খরচ যায়। অন্যান্য বছর সন্ধ্যার সময় আখ বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হত। এখন রাস্তায় কোনো মানুষ নেই। তাই বেচা-বিক্রিও কম।
শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে ও হাট-বাজারে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা আখের ভাসমান দোকান নিয়ে বসেছেন। ওই সকল দোকান থেকে পছন্দ ও সাধ্য অনুযায়ী অল্প সংক্ষক মানুষ আখ ক্রয় করছেন।
আখের ক্রেতা আবদুল মতিন বলেন, এ বছর আখের মান বেশি ভালো না। মিষ্টি কম। দামও বেশি। বাসায় নাতি-নাতনিরা আছে। তারা আখ খেতে আবদার করেছে তাই কিনলাম।
মহিবুল্লাহ চৌধুরী/এফএ/জেআইএম
Advertisement