সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী। রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
সাক্ষাৎকালে বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর অহিংস ও শান্তিপূর্ণ নীতি সম্পর্কে প্রচার, জাদুঘরসহ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণে ভারতের কারিগরি সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী দুই দেশের সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও উচ্চমাত্রায় উন্নীত করার লক্ষ্যে জাদুঘর ও গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা সংরক্ষণে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন এবং দুই দেশের সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি এ সময় পানাম সিটি সংরক্ষণের বিষয়ে ভারতের বিশিষ্ট প্রত্নতত্ত্ববিদ মনীষ চক্রবর্তীর বাংলাদেশ সফরের বিষয়টি হাইকমিশনারকে অবহিত করেন এবং এ কার্যক্রমকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
Advertisement
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী যেভাবে অহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন, একইভাবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও আজীবন অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে অনবদ্য ভূমিকা রাখেন।
বঙ্গবন্ধু মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে তথা ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন, এমনকী ৭ মার্চের ভাষণেও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ দুই মহান নেতার অহিংস ও শান্তিপূর্ণ মতবাদ বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে দুই দেশের অংশগ্রহণে স্মারক অনুষ্ঠান নির্মাণের প্রস্তাব করেন।
সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলাসহ সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের অভিন্ন অংশীদারিত্ব রয়েছে উল্লেখ করে ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, এসব বিষয়ে দুই দেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে আর্টক্যাম্প অনুষ্ঠিত হতে পারে যার মাধ্যমে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির সংশ্লিষ্ট শাখায় নতুন সৃজনশীল ও অনুপম কর্ম সৃষ্টি হতে পারে।
Advertisement
বৈঠকে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন, অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য) সাবিহা পারভীন উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/বিএ/এমকেএইচ