দেশজুড়ে

ভোলার ৫ পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য ৩০ মেয়র প্রার্থী

ভোলা জেলার পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সম্ভাব্য ৩০ জন প্রার্থী মাঠের  আলোচনায়। আওয়ামী লীগ দলীয়রা নানাভাবে গণসংযোগ শুরু করেছেন। অপরদিকে, বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা হোমওয়ার্কে রয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় ১৬ জন ও বিএনপি দলীয় ১৪ জনের অবস্থান। শারদীয় দুর্গোৎসবকেও গণসংযোগে কাজে লাগিয়েছিলেন কোনো কোনো প্রার্থী। এদিকে ভোটার তালিকা হালনাগদ করার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় ভোটার সংখ্যা নিশ্চিত করতে পারছে না নির্বাচন অফিস। এরপরও গতবারের চেয়ে এবার প্রতি পৌরসভায় ৩ হাজার থেকে পাঁচ হাজার ভোটার যোগ হচ্ছে এমনটাই আভাস নির্বাচন অফিসের। অনেকে দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। চলছে লবিং। তবে জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু জাগো নিউজকে জানান, দলীয়ভাবেই প্রার্থীতা বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর জানান, কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশ আসবে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। জেলা সদরের প্রথম শ্রেণির ভোলা পৌরসভায় এবারও আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। তিনি বিভিন্ন সভাসমাবেশে তার গত পাঁচ বছরের তিলোত্তমা ভোলা নগরী গড়ে  ওঠার কর্মকাণ্ড তুলে ধরছেন। একই সঙ্গে মাদকমুক্ত সমাজ গড়ার জন্য তাকে ফের ভোট দেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিএনপি দলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে মাঠে না নামলেও  সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি সাবেক মেয়র সফিকুর রহমান কিরন, তিনি অবশ্য স্থানীয় বিএনপির কর্মকাণ্ড নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে তার নির্বাচন করা। এছাড়া যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুমেন, বর্তমান পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রব আকন্দ, বর্তমান কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির সোপান, বর্তমান কাউন্সিলর বশির আহমেদ । দৌলতখান পৌরসভায় এবারই প্রথম মেয়র পদে প্রার্থী হবার কথা জানান দিয়ে মাঠে কাজ শুরু করেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী খায়রুল হাসান খোকন। এক বছর আগের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনে খোকনের প্রার্থী হওয়ার কথা ছিল। ওই সময় থেকেই খোকন এলাকায় আলোচিত।  অপর প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন বর্তমান মেয়র জাকির হোসেন তালুকদার, ঢাকার ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন। আবার বর্তমান কাউন্সিলরদের মধ্য থেকেও প্রার্থী হতে লবিং করছেন। তবে দলীয় মনোনয়নের সম্ভাবনায় এগিয়ে আছেন খোকন এমনটাই একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেন। এছাড়া বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেন সাবেক মেয়র মাকসুদ জমিদার, যুবদল সভাপতি  ফখরুল আলম টপি, বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন কাকন। লালমোহন পৌরসভায় আওয়ামী লীগ দলীয় একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মাঠে অবস্থান করছেন। বর্তমান মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহীনের পাশপাশি মাঠে এগিয়ে আছেন পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বাদল ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অরুন পঞ্জায়েত। তাদের মধ্যে বাদল দলীয় সবুজ সংকেত নিয়ে গত এক বছর ধরে পৌর এলাকার সার্বিক কাজ করছেন এমনটাই প্রচারণা রয়েছে। বিএনপি থেকে প্রার্থী হতে পারেন সাবেক মেয়র উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনায়েত কবির, উপজেলা বিএনপির সম্পাদক নজরুল কাদের মার্সাল, বিএনপির হাফিজ বিরোধী গ্রুপের নেতা মনিরুজ্জামান মনির । চরফ্যাশন পৌরসভার এবার ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৩ হাজার। মেয়র পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে মাঠে কাজ করার পাশপাশি আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন মহাজন, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি বাদল কৃষ্ণ দেবনাথ, পৌর আওয়ামী লীগ সম্পাদক মনির আহম্মেদ শুভ্র। এছাড়া বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম হাওলাদার ও প্যানেল মেয়র মোর্শেদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বিএনপি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মেয়র আমিরুল ইসলাম মিন্টিজ, যুবদল সভাপতি আশরাফুর রহমান  দিপু ফরাজি। বোরহানউদ্দিন পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এবারও মাঠে রয়েছেন। বিএনপিতে যাদের নাম শোনা যায় তারা হলেন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সরোয়ার আলম খান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কবির মিয়া পণ্ডিত। অমিতাভ অপু/এমজেড/এমএস

Advertisement