জিম্বাবুয়ে পাকিস্তান সফরে আসছে তিনদিন পর। এমন সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল, এই দলটিকে এবার তাদের দেশে আনতে বাড়তি কোনো টাকা খরচ করা হচ্ছে না, যেমনটা করা হয়েছিল ২০১৫ সালে।
Advertisement
পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াসিম খান স্থানীয় গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘২০১৫ এবং ২০১৮ সালের মধ্যে জিম্বাবুয়ে, বিশ্ব একাদশ এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের টাকা দিয়েছিল পাকিস্তান। আমাদের বিশ্বাস, সেই সময়ে সেটাই সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে এবং সফরকারি দল ও ক্রিকেট বোর্ডের আস্থা তৈরির জন্য এটা করা হয়েছিল।’
ওয়াসিম খান যোগ করেন, ‘তবে এটা থেকে খুব দ্রুত সরে এসেছে পিসিবি। আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের পাকিস্তানে আনতে বড় ধরনের আর্থিক পুরস্কার দেয়ার আর দরকার নেই এখন। তার বদলে পিসিবি এই অর্থ আমাদের নারী ক্রিকেট, অবকাঠামো উন্নয়ন, ঘরোয়া ক্রিকেটের উন্নয়ন, খেলোয়াড়দের চুক্তি এবং বিশ্বমানের কোচ শিক্ষা প্রোগ্রামে খরচ করবে।’
এর আগে পিসিবি ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের প্রতিটি খেলোয়াড়কে ১২, ৫০০ ইউএস ডলার করে দিয়েছিল বলা শোনা যায়। ২০১৭ সালে বিশ্ব একাদশের প্রতিটি সদস্যকে দেয়া হয়েছিল ১ লাখ ইউএস ডলার। ২০১৮ সালে করাচিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে আড়াই লাখ ইউএস ডলার দিতে হয়েছিল পিসিবিকে।
Advertisement
এছাড়া পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরানোর অংশ হিসেবে আইসিসিও টাকা খরচ করেছে। স্বাধীন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের মতো সময়ে ১.২ মিলিয়ন ইউএস ডলার দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ১০ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট ক্রিকেট ফেরানোয় বড় ভূমিকা রেখেছে শ্রীলঙ্কা। তার ধারাবাহিকতায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানে টেস্ট খেলে এসেছে বাংলাদেশও। আরেকটি টেস্ট খেলার কথা ছিল এপ্রিলে। কিন্তু করোনার কারণে সেটি স্থগিত হয়ে যায়।
এমএমআর/পিআর
Advertisement