চলমান শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীতে পানি হ্রাস অব্যাহত থাকায় নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুট। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতটি ড্রেজার ড্রেজিং চালালেও ফেরি চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। খননকৃত পলি নদীতে ফেলানোয় ড্রেজিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ফলে আসন্ন শীতে ঘনকুয়াশায় সঙ্কট প্রকট রূপ নেয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফেরির চালক ও সংশ্লিষ্ট এবং দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা জানান, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের স্বল্প দূরত্বে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে চলতি বছর বর্ষা মৌসুমেও ডুবোচরের জন্য ভোগান্তি ছিল বছর জুড়ে। শুষ্ক মৌসুমে পানির স্রোত কমে স্থিতিশীল থাকায় আশা করা হচ্ছিল নির্বিঘ্নেই চলাচল করবে ফেরিসহ নৌযানগুলো। কিন্তু গত কয়েকদিনে অস্বাভাবিক গতিতে পদ্মা নদীতে প্রায় ১০ ফুট পানি কমে যাওয়ায় নাব্যতা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যদিও নাব্যতা ধরে রাখতে এ রুটে সাতটি ড্রেজার কাজ করছে। তবে ড্রেজারগুলোর অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ড্রেজারগুলোর নদীর পলি নদীতেই অপসারণ করায় শুষ্ক মৌসুমের কাঙ্খিত স্বস্তি এখন অস্বস্তিতে রূপ নিয়েছে। ফলে গভীরতম ফেরিগুলো চলছে নদীর তলদেশ ঘেষে। নদীর মাগুরখন্দ, লৌহজং, হাজরা টার্নিং, কাঠালবাড়ি ও শিমুলিয়া ক্রসিংয়ের অনেক স্থান হয়ে পড়েছে সরু। ড্রেজিং এলাকাগুলো হয়ে পড়েছে ওয়ান ওয়ে। দ্রুত ড্রেজিং না হলে আসন্ন ঘনকুয়াশায় সঙ্কট আরো বেড়ে প্রতি বছরের মতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি বন্ধের শঙ্কা বেড়েই চলেছে। ড্রেজিং বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়ে এপর্যন্ত ১০ লাখ ঘন মিটার পলি অপসারণ করা হয়েছে। আরো চার লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের কাজ চলছে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে চলমান ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন ফেরি চালক, স্থানীয়রা। তবে ড্রেজিং সংশ্লিষ্টরা বলেন সঠিক নিয়মেই চলছেন তারা।ফেরি চালক, স্থানীয়রা ও ড্রেজার কর্মকর্তারা জানান, ভোগান্তি এড়াতে ঘনকুয়াশা মৌসুম শুরুর আগে ড্রেজিং কার্যক্রম আরো গতিশীল করার দাবি জানান বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা। বিআইডব্লিউটিসি কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ম্যানেজার, আ. বাতেন মিয়া জাগো নিউজকে জানান, ঘনকুয়াশার মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার যাত্রীদের ভোগান্তি থেকে বাচাতে দ্রুত ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে চ্যানেল প্রসস্থ করার দাবি দক্ষণাঞ্চলবাসীর। বিআইডব্লিউটিএ ড্রেজিং বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, ড্রেজিং কার্যক্রম সন্তোষজনক। আর নিয়ম মেনেই ড্রেজিং করছেন তারা। নদীর পলি নদীতেও ফেলার ক্ষেত্রে নিয়ম মানছেন তারা।এ কে এম নাসিরুল হক/এমজেড/পিআর
Advertisement