এমনিতেই বিশ্বে প্রতি বছর অপুষ্টিতে ভুগে লাখো শিশুর মৃত্যু হয়। কিন্তু মহামারি কোভিড-১৯ সংকটের কারণে চলতি বছরে তা আরও বাড়বে। করোনার প্রভাবে এ বছর প্রতি মাসে অতিরিক্ত দশ হাজার করে শিশু অপুষ্টিতে ভুগে মারা যেতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান।
Advertisement
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) এক সম্মেলনে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস বলেন, মহামারিতে এ বছর মারাত্মক অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা ১৪ শতাংশ অর্থাৎ ৬৭ লাখ বাড়বে। এর বেশিরভাগ সাব-সাহারা আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার।
টেড্রোস আধানম বলেন, ‘আমরা এমন একটা পৃথিবী মেনে নিতে পারি না যেখানে ধনীরা স্বাস্থ্যকর খাবার পাবে কিন্তু দরিদ্ররা পাবে না, ধনীরা ঘরে বসে নিজেদের সুরক্ষিত রাখবেন কিন্তু দরিদ্রদের অবশ্যই কাজে যেতে হবে।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, মহামারীতে অর্থনীতি ধসে পড়ায় এখন বিভিন্ন দেশের সরকারকে টেকসই খাদ্য ব্যবস্থার জন্য বেসরকারি খাত এবং নাগরিক সমাজের সঙ্গে কাজ করতে হবে। সেইসঙ্গে বন্ধ করতে হবে অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রস্তুতকারকদেরকে ভর্তুকি দেয়া।
Advertisement
তিনি মনে করেন, দেশগুলো শিশু খাদ্য কর্মসূচি সম্প্রসারণ, অস্বাস্থ্যকর খাবারের বাজার কমিয়ে ভোক্তাদের মধ্যে ভালো খাবারের প্রতি আগ্রহ তৈরির আর্থিক নীতি গ্রহণ করলে কয়েক মিলিয়ন জীবন বাঁচানো সম্ভব হতো।
টেড্রোস আধানম বলেন, ‘কোভিড আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে, জীবন ঠুনকো আর স্বাস্থ্য মূল্যবান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার কেবল ধনী ব্যক্তিদের জন্য নয়, এটা একটা মানবাধিকার।’
বৈশ্বিক এই করোনা মহামারি বিশ্বজুড়ে টিকাদান কর্মসূচি থেকে শুরু করে শিশু পুষ্টি, পরিবার পরিকল্পনা, মানসিক স্বাস্থ্যসহ আরও অনেক জরুরি সেবা কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটিয়েছে বলে জানান তিনি।
এসএ/এমকেএইচ
Advertisement