কিশমিশ সবার কাছেই পরিচিত। নানা রকম খাবার তৈরিতে এটি ব্যবহার হয়। কেক, ডেজার্টসহ অসংখ্য রেসিপি আছে যা তৈরিতে কিশমিশ প্রয়োজন। এই ড্রাই ফ্রুট এমনিতেও খাওয়া যায়। তবে এখানেই শেষ নয়। এর আছে অনেকরকম স্বাস্থ্য উপকারিতা। অসংখ্য গুণে ভরা এই কিশমিশ।
Advertisement
রক্তস্বল্পতা দূর করতে কিশমিশ উপকারী। কিশমিশ শরীরে নতুন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। লিভার বা যকৃত্পরিষ্কার রাখতেও কিশমিশের জুরি নেই। নিয়মিত কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে লিভার পরিষ্কার হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। ফলে শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে। অন্তত টানা চারদিন কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। পেটের সমস্যা থাকবে না। সেইসঙ্গে শরীর হবে সতেজ।
কিশমিশ হার্ট রাখতেও সাহায্য করে। এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল দূর করে। কিশমিশে আছে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। শুধু কিশমিশ ভেজানো পানি পান করলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে প্রবেশ করে। পানিতে ভেজানোর আরেকটি কারণ হলো, এতে শর্করার মাত্রা কমে। রক্ত পরিষ্কার করতে কিডনির পাশাপাশি লিভারকেও ভালোভাবে কাজ করতে হবে। তাই লিভার ও কিডনির সমস্যা হলে, ক্ষতিকারক পদার্থ শরীরে জমে আমাদের অসুস্থ করে তোলে। তাই লিভার ও কিডনিকে সবসময় চাঙ্গা রাখতে হবে।
Advertisement
২ কাপ পানি ও ১৫০ গ্রাম কিশমিশ নিন। কী ধরনের কিশমিশ কিনছেন, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব চকচক করছে, এমন কিশমিশ কিনবেন না। চেষ্টা করুন গাঢ় রঙের কিশমিশ কিনতে। কিশমিশগুলোকে ভালো করে কয়েকবার ধুয়ে নিন। এরপর একটি পাত্রে দু-কাপ পানি দিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে কিশমিশ ছেকে নিয়ে, সেই পানি হালকা গরম করে সকালে খালি পেটে পান করে নিন। অন্তত মিনিট ত্রিশেক অন্যকিছু খাবেন না। এভাবেই পরপর চারদিন খেতে হবে। পরিবর্তনটা নিজেই বুঝতে পারবেন।
এইচএন/এএ/জেআইএম