বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার-প্রকাশকদের ওপর হামলা ও নিহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। সেইসঙ্গে চরমপন্থিদের হুমকিতে থাকা সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক কমিশনার জেইদ রাদ আল হুসেইন এ আহ্বান জানান। গত ফেব্রুয়ারিতে নিহত লেখক অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশকারী দুটি প্রকাশনা সংস্থায় সন্ত্রাসী হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হওয়ার পর এ বিবৃতি এলো।জেইদ বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশে অন্তত পাঁচজন লেখক ও প্রকাশক এবং দুই বিদেশি খুন হয়েছেন এ ছাড়া আরো অনেকের ওপর হামলার ঘটনা এবং তাদের হুমকি দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং লেখক, প্রকাশকসহ বাংলাদেশে অন্য যারা সহিংসতার হুমকি পাচ্ছেন তাদের রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নিয়ে আরো হত্যাকাণ্ড রোধে সমন্বিত পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজন।জেইদ রাদ আল হুসেইন বলেন, রাষ্ট্র চরমপন্থি গ্রুপগুলোকে সবকিছু নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার সুযোগ দিতে পারে না। তিনি লেখক-প্রকাশকদের হত্যা ও হুমকির প্রতিবাদ জানাতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় দীপনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দীপন জাগৃতি প্রকাশনার কর্ণধার ছিলেন। একইদিন লালমাটিয়ায় ‘শুদ্ধস্বর’ প্রকাশনীর অফিসে হামলায় প্রকাশক আহমেদুর রশিদ টুটুল এবং ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রনদীপম বসু আহত হন।এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে একুশের বইমেলা থেকে বের হওয়ার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এর আগে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি বছরের অগাস্ট পর্যন্ত ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার, গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী আরিফ রায়হান দীপ, লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু, অনন্ত বিজয় দাশ ও নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় নিলয়কে একই কায়দায় হত্যা করা হয়।বিএ
Advertisement