কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আলু ব্যাবসায়ীরা বর্তমানে প্রতিকেজি আলুতে অন্তত ২০ টাকা লাভ করছেন। এটা একেবারেই অনৈতিক। কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০ টাকা বেঁধে দেয়া হলেও সেটি বাস্তবায়ন কঠিন। তবে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০২০ ও কৃষির সমসাময়িক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'যে দামে তারা (ব্যবসায়ী) কিনেছে, কত লাভ করবে... কিনেছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা করে। কিন্তু এটা তাদের ৪৫-৫০ টাকা করে কেন বিক্রি করতে হবে? এই লাভ করার প্রবণতা... ন্যূনতম একটা নৈতিকতা তাদের মধ্যে কাজ করে না। এক কেজি আলুতে ২০ টাকা লাভ করা কি সহজ কথা? সে সুযোগ তারা নিচ্ছে।'
এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকারের উদ্যোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এটা নিয়ন্ত্রণ করা খুব কঠিন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন চেষ্টা করে। তবে বাস্তবে এটা করা যায় না। বাজারে চাহিদা এবং তাদের (ব্যবসায়ী) নানান কারসাজির কাছে এটা করা খুব কঠিন একটা কাজ। তবে আমরা চেষ্টা করছি। আমরা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছি না।'
Advertisement
তিনি বলেন, অতি বন্যার কারণে অন্যান্য সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে আলুর চাহিদা বেড়ে গেছে। আমার মনে হয় আর ২০ থেকে ২৫ দিন এই সবজির দাম একটু বেশি থাকবে। তারপর নতুন সবজি এসে যাবে, তখন দাম কমে আসবে।
গত কয়েক দিন ধরে বাজারে কেজিপ্রতি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ধরে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে অন্যান্য সবজির দামও। এতে দরিদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে তিন পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কেজিপ্রতি খুচরা পর্যায়ে ৩০, পাইকারিতে ২৫ ও হিমাগার থেকে ২৩ টাকা। এই দামে আলু বিক্রি না করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদফতর থেকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের সব জেলা প্রশাসককে এই ব্যাপারে চিঠি দেয়া হয়েছে।
Advertisement
তারপরও বাজারে আলুর দামে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। এমনকি আজ বৃহস্পতিবারও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫০ থেকে ৫৫ টাকা আলু বিক্রি হচ্ছে।
এমইউএইচ/এনএফ/পিআর