রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ করে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বস্তি থেকে শুরু করে অভিজাত ফ্ল্যাটবাড়িসহ সব জায়গায় সন্ধ্যা নামতে না নামতেই বাড়ছে মশার উৎপাত।
Advertisement
গত কয়েক মাস মশার উপদ্রব না থাকায় দুই মেয়রের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন নগরবাসী। মশা নিয়ন্ত্রণে উৎপত্তিস্থলে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও সিটি করপোরেশনের মশক নিধন কর্মীদের মশার ওষুধ ছিটাতে দেখা যেত। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ মশার ওষুধ ছিটাতে কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন নগরবাসীরা। মহামারি করোনাভাইরাস আতঙ্কের সঙ্গে নতুন করে যোগ হচ্ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে এবং মশার উৎপত্তিস্থলে মশার ওষুধ না ছিটানোর ফলে মশার উপদ্রব বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীতে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। তার মধ্যে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ জন ও ঢাকার বাইরের হাসপাতালে একজন ভর্তি রয়েছেন।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে সাতজন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তার মধ্যে ঢাকা শিশু হাসপাতালে দুইজন, বিজিবি সদর হাসপাতাল পিলখানায় দুইজন ও বেসরকারি হাসপাতালে তিনজন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হন।
এ নিয়ে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মাঝ অক্টোবর পর্যন্ত ৫০৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। সুস্থ হয়েছেন ৪৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে (৮ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর) ২১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এ সময়ে ভর্তিকৃত রোগীর সংখ্যা যথাক্রমে দুইজন, একজন, চারজন, সাতজন, তিনজন, দুইজন এবং সাতজন।
সূত্র আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত মাসওয়ারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তির সংখ্যা যথাক্রমে ১৯৯ জন, ৪৫ জন, ২৭ জন, ২৫ জন, ১০ জন, ২০জন, ২৩ জন, ৬৮ জন, ৪৭ জন ও ৪২ জন।
Advertisement
এমইউ/এসআর/পিআর