গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। এরপর এটি ছড়িয়ে পড়ে সারাবিশ্বে। করোনা মহামারির কারণে থেমে যায় বিশ্ব অর্থনীতি। যা এখনো চলমান রয়েছে।
Advertisement
তবে করোনায় এখন পর্যন্ত বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতির প্রকৃত পরিসংখ্যান না জানা গেলেও একটি সম্ভাব্য ক্ষতির হিসাব দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। ওয়াশিংটনভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতির এ পর্যবেক্ষণ সংস্থাটির মতে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি ২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শুধু তাই নয়, আর্থিক এ প্রতিষ্ঠানটি বলছে, করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি সঙ্কুচিত হবে ৪.৪ শতাংশ। তবে গত জুনে আইএমএফ আশঙ্কা করে বলেছিল, বিশ্ব অর্থনীতি এ বছর সঙ্কুচিত হবে ৫.২ শতাংশ। তবে আশঙ্কা অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রান্তিকে লকডাউন আংশিক প্রত্যাহারে অর্থনীতির ক্ষতি কিছুটা কম হয়েছে বলছে আইএমএফ।
সংস্থাটি আরও জানায়, করোনা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার পর অর্থনীতিতে চরম নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
Advertisement
সংস্থাটির শীর্ষ অর্থনীতিবিদ গীতা গোপিনাথ বলেন, ‘কোভিড সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের বিষয়টি ক্রমশ দীর্ঘস্থায়ী, অসম ও অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। করোনার মন্দায় লোকসানের পরিমাণ ২০২০-২১ সালে ১১ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ২০২০-২৫ এ ২৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িতে যাবে, যা মার্কিন অর্থনীতির চেয়েও আকারে বড়।
তিনি বলেন, ‘সব দেশের জীবনযাত্রার মান কোভিড মন্দায় নেমে যাওয়ার কারণে এসব (যেসব দেশে করেনা সংক্রমণ রয়েছে) দেশের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই সংকট বিনিয়োগকে অনিশ্চিত করে তুলেছে, অর্থনীতির ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করেছে।’
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডওমিটারসের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ কোটি ৮৭ লাখ ৪৬ হাজার ৫১৩ জন। মারা গেছেন ১০ লাখ ৯৬ হাজার ৮৮১ জন। অবস্থা আশঙ্কাজনক ৭০ হাজার ৪৩১ জনের।
সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৯১ লাখ ২৬ হাজার ৭৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন রেকর্ড ৩ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৬ জন, মারা গেছেন ছয় হাজার ৮৩ জন।
Advertisement
এসআর/পিআর