দেশজুড়ে

কুমিল্লায় বিভিন্ন স্টুডিও থেকে সাড়ে ৪শ পাসপোর্ট উদ্ধার

কুমিল্লায় র‍্যাবের পৃথক অভিযানে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন দুইটি স্থানসহ নগরীর ৪টি আস্তানা থেকে সাড়ে ৪শ পাসপোর্ট, বিপুল পরিমাণ আবেদন ফরম, ভুয়া-জাল সার্টিফিকেট, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তার নামে ভুয়া সিল উদ্ধার করা হয়েছে।

Advertisement

এ সময় পাসপোর্ট দালাল চক্রের ৪ হোতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা অবৈধপথে পাসপোর্ট তৈরির সঙ্গে কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সফিজুল ইসলাম ও মিজানসহ তিনজনের জড়িত থাকার কথা র‍্যাবকে জানিয়েছে।

র‍্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি অধিনায়ক মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিবের নেতৃত্বে বুধবার এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, কুমিল্লা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন বেশ কয়েকটি আস্তানাসহ নগরীর বিভিন্নস্থানে অফিস খুলে সংঘবদ্ধ দালালচক্র পাসপোর্ট অফিসের এক শ্রেণির দুর্নীতিপরায়নকে ম্যানেজ করে অবৈধপথে পাসপোর্ট তৈরি করছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একাধিক টিম বিভিন্নস্থানে অভিযান চালায়।

Advertisement

তারা প্রথমে নগরীর মনোহরপুর সোনালী ব্যাংক ভবন সংলগ্ন ফাইন ফটো স্টুডিওতে অভিযান চালিয়ে মালিক মো. আতিককে গ্রেফতার করে। এ সময় তার স্টুডিও থেকে ২১১টি নতুন, ৭৫টি পুরাতন পাসপোর্টসহ ভুয়া সিল ও বিপুল পরিমাণ কাগজপত্র জব্দ করা হয়। পরে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া পাসপোর্ট অফিস সংলগ্ন এলাকার খোকন এন্টারপ্রাইজ থেকে ৯৩টি পাসপোর্টসহ ইকবাল হোসেন ও আবুল কালাম নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়া ওই এলাকার পাসপোর্ট অফিস লাগোয়া মার্কেটের কাজী রাইয়্যান এন্টারপ্রাইজ থেকে ৯টি পাসপোর্টসহ মালিক কাজী মিনহাজকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া ওই মার্কেটের মা মনি ডিজিটাল স্টুডিও থেকে ৪৮টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। এ সময় মা মনি স্টুডিও’র মালিক নিয়াজ মোর্শেদ পালিয়ে যায়। র‍্যাবের কর্মকর্তা মেজর তালুকদার নাজমুস সাকিব জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে অবৈধপথে পাসপোর্ট তৈরি করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ অবৈধ কাজের সঙ্গে পাসপোর্ট অফিসের তিন কর্মকর্তা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের হিসাব বিভাগের কর্মকর্তা সফিকুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।

Advertisement

তবে কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক শামীম আহমেদ জানান, অফিসের বাইরে কে কি করছে তা আমার জানা নেই। বিস্তারিত না জেনে এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে পারবো না। কামাল উদ্দিন/এমএএস/এমকেএইচ