আন্তর্জাতিক

ভ্রমণকারীদের জন্য কোয়ারেন্টাইনের সময় বাড়াল কাতার

কাতারে ভ্রমণকারীদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন নীতিমালার সময় আরও বাড়ানো হয়েছে। দেশটিতে ভ্রমণ করলে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণকারীদের জন্য এই বিধি-নিষেধ জারি করেছে কাতার সরকার। খবর আল জাজিরা।

Advertisement

ডিসকভার কাতার ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতারের নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা বা ভিসাধারী সবাইকে দেশটিতে প্রবেশের পর কোয়ারেন্টাইন মানতে হবে। আর কোয়ারেন্টাইনের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

করোনার কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো থেকে যারা কাতারে প্রবেশ করবেন তাদের অবশ্যই বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করাতে হবে। পরবর্তীতে তাকে এক সপ্তাহের জন্য বাড়িতেই অবস্থান করতে হবে।

ওই ভ্রমণকারীকে দ্বিতীয়বার করোনা টেস্ট করাতে হবে। সে সময়ও যদি তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে তাহলে তার কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হবে।

Advertisement

আর কোনো ভ্রমণকারীর যদি করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে তবে তাকে যে কোনো সরকারি হাসপাতাল বা চিকিৎসাকেন্দ্রে আইসোলেশনের জন্য পাঠাতে হবে।

যেসব দেশে করোনার ঝুঁকি বেশি সেখান থেকে লোকজনকে অবশ্যই ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট নিয়ে কাতারে আসতে হবে। তাকে ভ্রমণের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা পরীক্ষা করে কাতারে প্রবেশ করতে হবে। পরবর্তীতে তাদের কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।

যদি ভ্রমণের আগে কেউ ভাইরাস মুক্ত সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে না পারেন তবে কাতারে পৌঁছে নিজেদের পকেটের পয়সা খরচ করে একটি হোটেলে রুম বুকিং দিয়ে সেখানে সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। এই সময় পার হলে তাদের করোনা টেস্ট করা হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই কড়াকড়ি আরোপ থাকবে। তারপরই হয়তো পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে কাতারের নাগরিক, কার্ডধারী স্থায়ী বাসিন্দাদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে যে কেউ চাইলেই কাতারে প্রবেশ করে যেখানে-সেখানে চলাফেরা করতে পারবেন না। তাদের অবশ্যই কর্তৃপক্ষের জারি করা বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।

চীন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, গ্রিস, মরক্কো, আলজেরিয়া এবং তুরস্কসহ ৪০টি দেশকে করোনার কম ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রেখেছে কাতার।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বিপর্যস্ত ইরান। এরপরেই রয়েছে সৌদি আরব, তুরস্ক, ইসরায়েল এবং কাতার।

এদিকে, কাতারে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ২৮ হাজার ৪০৫। এর মধ্যে মারা গেছে ২২০ জন। অপরদিকে, সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৭৩ জন।

টিটিএন