বাংলাদেশের হোমিও, ইউনানি এবং আয়ুর্বেদি শিক্ষাব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করার পরামর্শ দিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারত হোমিও আয়ুর্বেদি চিকিৎসার মান উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ভারতের আয়ুস মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মতিঝিল ফেডারেশন ভবনে ভারত সরকারের আয়ুর্বেদি ইয়োগা ইউনানি সিদ্ধা হোমিও (আয়ুস) মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেশের আয়ুর্বেদি-হোমিও ব্যবসায়ীদের এক আলোচনা সভায় আয়ুসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সুমিতা বিশ্বাস এ কথা বলেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এ আলোচনার আয়োজন করে। সুমিতা বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশের হোমিও, ইউনানি এবং আয়ুর্বেদির অনেক মেডিকেল কলেজ আছে। এসব কলেজের বেশির ভাগ ডিপ্লোমা ডিগ্রি দেয়া হয়। উচ্চতর ডিগ্রি প্রদানের প্রতিষ্ঠান এদেশের খুবই কম। ডিগ্রি পর্যায়ে যেসব মেডিকেল কলেজ রয়েছে তাও হাতেগোনা কয়েকটি। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত অনেক সমস্যা রয়েছে।তিনি বলেন, দেশের চিকিৎসার মান ভালো। তবে বেশির প্রতিষ্ঠান ডিপ্লোমা ডিগ্রি দিয়ে থাকে। যা আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ডের নয়। তাই বিশ্বমানের চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ডিপ্লোমার পরিবর্তে উচ্চতর ডিগ্রি চালু করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে দুই দেশের চুক্তি হয়েছে। চুক্তির আওতায় প্রতিবছর ২৫ জন শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রির জন্য স্কলারশিপ দেয়া হবে। দুই দেশই হারানো ওষধি গাছ রক্ষা, ওষধ ম্যানুফ্যাকচারের বিভিন্ন দিক উন্নয়নে কাজ করবে, কাচাঁমাল আমদানি-রফতানিতে সহযোগিতা এবং হোমিও, ইউনানি, আয়ুর্বেদি চিকিৎসার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, হোমিও, ইউনানি এবং আযুর্বেদি একটি সম্ভাবনাময় খাত। চিকিৎসা সেবায় এ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তাই এ খাত উন্নয়নে সব ধরনের সুবিধা এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে করা হবে।আলোচনা সভায় এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক শাফকাত হায়দার, সাবেক পরিচালক ও আয়ুর্বেদিক মেডিসিন ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ এফএম ফখরুল ইসলাম চোধুরী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এসআই/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement