আন্তর্জাতিক

প্রতিবাদের হাতিয়ার চুম্বন

প্রতিবাদের হাতিয়ার ছিল চুম্বন। কিন্তু প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গ্রেফতার হলেন প্রায় ৫০ জন। গত সপ্তাহে কেরলের একটি কফি শপে প্রেমিক-প্রেমিকাদের উপর বিজেপি সদস্যদের হামলার প্রতিবাদে রবিবার চুম্বন দিবসের ডাক দেওয়া হয়। কিন্তু কোচির মেরিন ড্রাইভে এই কর্মসূচিতে আপত্তি জানায় পুলিশ। তা সত্বেও কর্মসূচিতে অবাধ অংশগ্রহণের ডাক দেওয়া হয়। হাজির হন অনেকেই। গালে ও ঠোঁটে চুম্বন করে প্রতিবাদ জানালেন তাঁরাই। পুলিশ এরপরই প্রায় ৫০জনকে গ্রেফতার করে।নীতি পুলিশের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদের রাস্তা ধরল কেবল। সপ্তাহ খানেক আগে কালিকটের এক রেস্তোরাঁতে `অশালীন` আচরণের অভিযোগে ভাঙচুর চালিয়েছিল বিজেপির যুব শাখার কিছু কর্মী। কিছুদিনের মধ্যেই সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইটের হাত ধরে এই নীতি পুলিশের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ঠোঁটে ঠোঁট রেখে বিদ্রোহের ডাক দেওয়া হয়। ডাক দেওয়া হল ভালবাসাকেই প্রতিবাদের হাতিয়ার করার।`ভালবাসার চুম্বন` (Kiss of Love) নামের এই ইভেন্টির আয়োজন করেছেন কেরালারই কিছু যুবক যুবতী। আগামী রবিবার আবালবৃদ্ধবনিতাকে মেরিন ড্রাইভে সর্বসমক্ষে চুম্বনের মাধ্যমে নিজেদের ভালবাসা প্রকাশের ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অন্তত ২,৫০০ জন এই ভালবাসার বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করার সম্মতি জানিয়েছেন। ফেসবুকে এই ইভেন্ট পেজটিতে লাইকের সংখ্যা ৭,০০০ ছাপিয়ে গেছে। এই ইভেন্ট যে এতটা সাড়া জাগাবে সেটা আশাই করেননি খোদ আয়োজকরাও।ফেসবুকে অনেকে জানিয়েছেন তাঁদের সঙ্গী না থাকার জন্য এই প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও তাঁদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।আয়োজকরা জানিয়েছেন কোন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর প্রতিবাদ তাদের জেহাদ নয়। কিন্তু কারোর ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানোকে তাঁরা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করবেন না। ভারতীয় পিনাল কোডের ২৯৪ ধারা অনুযায়ী জনসমক্ষে অশালীন আচরণ শাস্তিযোগ্য। কিন্তু নগ্নতা ছাড়া কোনটা অশালীন আচরণ হিসাবে গণ্য হবে তার স্পষ্ট ভাবে কোথাও বলা নেই।আয়োজকরা দাবি করেছেন বহু উগ্র ডানপন্থী সংগঠন ইতিমধ্যেই তাঁদের হুমকি দিতে শুরু করেছে। আয়োজকদের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে রাহুল পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন করেছেন।

Advertisement