সনাতনী সম্প্রদায়কে কটাক্ষ, ধর্মান্তরকরণ ও সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার অভিযোগ তুলে ইতোমধ্যে আইনি নোটিশও পাঠানো হয়েছে ‘বিজয়া’ নাটকের নির্মাতা-কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে। এবার উল্টো ‘বিজয়া’র নির্মাতা ও কলাকুশলীদের হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
হত্যার হুমকির তালিকায় নাটকটির অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী নুসরাত ইমরোজ তিশার নামও রয়েছে। এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এমন অভিযোগ করেন ‘বিজয়া’ নাটকটির প্রযোজক ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলাম। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। সেই দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত হয়েছে ‘বিজয়া’ নামের টেলিভিশন কাহিনিচিত্র। এটি প্রচারে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাভিশনে। ক্রাউন এন্টারটেইনমেন্টের ডেপুটি সিইও তাজুল ইসলামের অভিযোগ, নাটকটি কেন্দ্র করে কিছু দুর্বৃত্ত কিছুদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘বিজয়া’র কলাকুশলীদের হুমকি দিয়ে আসছে। নাটকটির অভিনেত্রী জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী নুসরাত ইমরোজ তিশা, গল্পের লেখক সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী, নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেয়া হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তাজুল ইসলাম আরও উল্লেখ করেন, ‘গল্পের লেখক সালাহ উদ্দিন শোয়েব চৌধুরী, নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ, অভিনেত্রী তিশাসহ সংশ্লিষ্টদের হত্যার হুমকি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে দুর্বত্তরা। এরই ধারাবাহিকতায় লিটন কৃষ্ণ দাস তার নিয়োজিত আইনজীবী সুমন কুমার রায়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে একটি উকিল নোটিশও পাঠিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
‘ওই উকিল নোটিশে খুবই পরিকল্পিতভাবে দাবি করা হয়েছে যে, তারা নাকি এই নাটকের ট্রায়াল ভার্সন দেখেছেন, যা খুবই হাস্যকর। এখানে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, নোটিশে উল্লিখিত দাবিসমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। নাটকের টিজার বা এ সংক্রান্ত কোনো তথ্যই আমরা প্রকাশ করিনি। করলে প্রচারের স্বার্থেই সেগুলো গণমাধ্যমকর্মীরা পেয়ে যেতেন। বর্তমানে নাটকটির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে, যা সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল টিজার বা গল্পসংক্ষেপ প্রকাশ হবে এবং যথারীতি গণমাধ্যমকর্মী ভাইদের হাতেও পৌঁছে যাবে।’
Advertisement
তিনি যোগ করেন, ‘এক্ষেত্রে আমাদের বিশ্বাস, একটি অশুভ চক্র দেশের বিদ্যমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের অপউদ্দেশ্যে নাটকটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ মিথ্যা অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি নাটকের লেখক, নির্মাতাসহ সংশ্লিষ্টদের হত্যার হুমকি দিয়ে একধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির হীন চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। এতে সংশ্লিষ্টরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, অন্যদিকে ব্যক্তির সুনাম ক্ষুণ্নসহ সাম্প্রদায়িক চেতনা বিনষ্ট হচ্ছে বলে আমরা মনে করছি।’
এলএ/এমএস