রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পৃথক চারটি হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।এ সময় ১০ জনকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতালটি তিন দিনে মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।যেসব হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলো- বিডিএম জেনারেল হাসপাতাল, কাশমী জেনারেল হাসপাতাল, নর্থ সাউথ হাসপাতাল এবং নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল।র্যাব-২ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসময় উপ-পরচিালক মো. দিদারুল আলম ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম (সাদী) উপস্থিত ছিলেন।হেলাল উদ্দিন বলেন, অভিযানকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরস্থ হুমায়ুন রোড ও বাবর রোডে বিডিএম জেনারেল হাসপাতাল ও কাশমী জেনারেল হাসপাতালে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা ও কাপড় শুকানো, রেডিওলজিষ্ট ও সনোলজিষ্ট না থাকা, লাইসেন্সবিহীন ওটি পরিচালনা করা, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ল্যাব টেকনিশিয়ান না থাকা, অতিরিক্ত বেড ব্যবস্থা করে গাদাগাদি করে রোগি রাখা, পর্যাপ্ত ডাক্তার না থাকা, নার্সের কাউন্সিলিং সার্টিফিকেট না থাকা, ড্রাগ লাইসেন্স না থাকার অপরাধে ৬ জনকে আটক করা হয়।পরে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দোষ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫২ ধারা ও নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন আইনের ১৮ ধারা মোতাবেক বিডিএম জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪ জনকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।একইভাবে কাশমী জেনারেল হাসপাতালের ২ জনকে একই ধারায় ৩ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান ও ম্যানেজার আবু তৌহিদ খানকে (৪৪)এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।এছাড়াও একই এলাকায় নর্থ সাউথ, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে একই অপরাধ চিত্র দেখতে পাওয়া যায়। পরে সেখানে ৪ জনকে আটক করা হয়। স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে শাহাদাত হোসেনকে (৪৫) ও ম্যানেজার জেবুরা হারকে (৪৮) এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ড দেয় হয়।নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতালের মালিক নজরুল ইসলামকে(৩৫) দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও ম্যানেজার মিলন বাড়ৈকে(৩০) ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং আগামী ৩ দিনের মধ্যে হাসপাতালটি বন্ধের নির্দেশ প্রদান করেন।জেইউ/জেডএইচ/আরআইপি
Advertisement