সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নারীদের আলোচিত গ্রুপ ফেইরি ল্যান্ড দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গ্রুপটির দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ক্লাবে ৬ নভেম্বর শুক্রবার এ অনুষ্ঠান চলবে।এদিন সকাল ১০টা থেকে এই ইভেন্ট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ‘নিজেকে জানো অপরকে জানাও’ মোটো নিয়ে পরস্পরের মধ্যে পরিচিতি, গসিপ, আড্ডা, খাওয়া ও ডিজে পার্টির আনন্দে গ্রুপ সদস্যরা মেতে থাকবেন সারাদিন। নারী উদ্যোগক্তা, কর্মজীবী, গৃহিনী ও বিবাহিত মেয়েদের এই গ্রুপ। বাংলাদেশ ও প্রবাসে বিভিন্ন বয়স ও পেশার ৮ হাজার মেয়ে এ গ্রুপের সদস্য। মেয়েদের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ও শক্তিশালী একটি সামাজিক গ্রুপ হিসেবে একে গড়ে তোলার জন্য গত দুই বছর ধরে এই গ্রুপের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। ফেইরি ল্যান্ড গ্রুপের পক্ষে মীম সাবিহা সাবরীন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাগো নিউজকে বলেন, এই ইভেন্টে গ্রুপের সদস্যদের উপস্থিতি আমাদের পথচলাকে আনন্দময় করবে। তিনি আরো বলেন, আজকের জেনারেশনের মেয়েরা দিনের অনেকটা সময় ফেসবুকে কাটিয়ে দেয়। তাদের এই কাটানো সময়টা অন্য আর একজনের জন্য উপকারে আসুক, সেটার জন্য কাজ করে যাচ্ছে এই গ্রুপ। ফেসবুকে শুধু কথামালার জাল না বুনে বা ব্যক্তিগত সুখ-দুঃখের ইনফরমেশন (তথ্য) বিনিময়ের মধ্যেই জীবনের মূল্যবান সময় বিনষ্ট না করে, বাস্তব জীবনেও একজন আর একজনকে কিভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে এগিয়ে যেতে পারে-পরস্পরের পাশে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে এই গ্রুপের সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, এই গ্রুপের কোন সদস্য বিপদে পড়লে গ্রুপ থেকে টাকা তুলে তাকে সাহায্য করা হয়। আইনগত সহায়তা দিতে এগিয়ে আসা হয়। অসহায় এতিমদের জন্য সাহায্য তুলে সহায়তা করা হয়, কাপড় দেয়া হয়। কোরবানির সময় মাদ্রাসায় গরু কিনে দেওয়া হয়। শীতকালে অসহায় শীতার্তদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়। এছাড়া এই গ্রুপ থেকে প্রতিবন্ধীদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। যারা প্রতিবন্ধী হয়েও জীবনের সকল বাধা পেরিয়ে শিক্ষিত হয়েছেন; কিন্তু কোথাও চাকরি পাচ্ছেনা তবে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, ফেইরি ল্যান্ড, তাদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি বলেন- এজন্য শুধু ফেসবুকে নয়, বাস্তব জীবনেও যেন গ্রুপ সদস্যরা একটি সামাজিক দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারে, পরস্পরের কাছাকাছি আসতে পারে, সবার মাঝে বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে পারে- সে জন্য কিছুদিন পর পর আমরা বিভিন্ন ইভেন্ট এবং গেট টু গেদারের আয়োজন করে থাকি। প্রতিটি গেট টুগেদারে এক এক বার ২৫০ থেকে ৩০০ জন সদস্য অংশগ্রহণ করে থাকেন। এতে একজন আর একজনকে আরও কাছ থেকে জানার সুযোগ পায় এবং নিজেদের মধ্যে আন্তরিকতা আরো বাড়ে। এইচএস/এসএইচএস/আরআইপি
Advertisement