জাতীয়

দরিদ্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন হাওর, চর ও উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত দরিদ্র মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।এজন্য জাতীয় পর্যায়ে এলাকাভিত্তির উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নসহ ১৬দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এই দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।সমাজভিত্তিক সংগঠনসমূহের জাতীয় সম্মেলনে সমাপনী ভাষণে তিনি এ আশ্বাস দেন। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী সম্মেলন বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ হয়েছে।অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল ভি সোনাজীর সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে আরো বক্তৃতা করেন জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ সরেন, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর এবং সিবিও প্রতিনিধি রাশিদা বেগম, জয়া রাণী ও কোরবার আলী।প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পিকার বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনধারণে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।সমাজভিত্তিক সংগঠনসমূহ উন্নয়নের অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, নারীর নেতৃত্ব বিকাশ ও ক্ষমতায়ন, কৃষি বিষয়ক সেবা, কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।কৃষকের ফসল উৎপাদন বাড়াতে ও ফসলের বিপণন নিশ্চিত করতে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হচ্ছে।তিনি আরো বলেন, উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় বিপদাপন্ন প্রান্তিক নারী পুরুষের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকে কার্যকর ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে আপনারা যে উন্নয়ন উদ্যোগ ও সফলতার দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছেন তা সত্যিই প্রসংশার দাবিদার।স্পিকার বলেন, বিশেষ করে দুর্গম ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে তৃণমূল সমাজভিত্তিক গণসংগঠনসমূহের কাজের অভিজ্ঞতা ও অর্জিত সফলতা আগামীতে বিশেষ কাজে আসবে। আর পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে গৃহীত সুপারিশ জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়নে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে।তিনি এই সুপারিশ বাস্তবায়নে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।এরআগে সম্মেলনের তিনটি অধিবেশনে, সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ১৬ দফা সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।সুপারিশে কৃষিখাতে সংশ্লিষ্ট নারীদের কৃষক হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান ও তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, খাসজমি ও জলা-জঙ্গলে নারীদের প্রবেশাধিকার বাড়ানো, হাওর ও উপকূল অঞ্চলে স্কুলে যাতায়াতের জন্য বিশেষ নৌ ব্যবস্থা চালু এবং কৃষি উৎপাদন, পশুপালন ও মৎস্য চাষকে উৎসাহিত করতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়।এইচএস/এসকেডি

Advertisement