বুড়িগঙ্গা নদীর আদি চ্যানেল (হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর) সিএস/আরএস অনুসারে জরিপ করে দখলদারদের নাম-ঠিকানাসহ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী তিন মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
Advertisement
আদালতের নির্দেশনায়, জরিপ সম্পন্নের জন্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জরিপ টিমে ঢাকা জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিউটিএ’র প্রতিনিধিও রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার পুলিশ সুপারকে জরিপে সকল ধরনের সহযোগিতার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
জনস্বার্থে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’র দায়ের করা রিটের সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মনজিল মোরসেদ পরে সাংবাদিকদের বলেন, চার নদীর অবৈধ দখল বন্ধে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালে বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নদীর সীমানা জরিপ করে দখলদারদের উচ্ছেদসহ নয় দফা নির্দেশনা দেয়া হয়।
Advertisement
ওই রায়ের আলোকে জরিপের সময় হাজারীবাগ-কামরাঙ্গীরচর এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ আদি চ্যানেলের বাইরে থাকায় এইচআরপিবির পক্ষ থেকে ২০১৫ সালে সম্পূরক আবেদন করা হয়। আবেদনে ওই এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর অংশ জরিপ করে দখলদারদের চিহ্নিত করার আবেদন জানানো হয়।
এফএইচ/এমএআর/পিআর