দেশজুড়ে

রূপগঞ্জে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেনের হস্তক্ষেপে সুমাইয়া আক্তারের (১২) বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইউএনওর নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয়। সুমাইয়া আক্তার উপজেলার মাহনা বড়বাড়ি এলাকার ফুল মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় মাহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, কাঞ্চন পৌরসভার কালাদি এলাকার কাজল মিয়ার ছেলে কাউসার মিয়ার (২৫) সঙ্গে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে ঠিক করে তার পরিবারের লোকজন। এতে স্থানীয় এলাকাবাসী বাঁধা দিলেও বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য করা হয়। শুক্রবার বিয়ে হওয়ার কথা। ইতোমধ্যে বিয়ের প্যান্ডেল, গেইটসহ গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। মেহমানদের আপ্যায়নের জন্য মুদি-মনোহরী মালপত্রও কেনা হয়। বাল্যবিয়ের বিষয়টি খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লোকমান হোসেন পুলিশকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। পরে ইউএনওর নির্দেশ মোতাবেক বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এতে ওই স্কুল শিক্ষার্থীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেয়া হয়। পূর্ণ বয়স না হওয়া পর্যন্ত বাল্যবিয়ে দেয়া হলে উভয় পরিবারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান এসআই। এদিকে, মাহনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ জাগো নিউজকে বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে সমাজের সকলের এগিয়ে আসা জরুরি। শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার এখন পড়াশোনা করার সুযোগ পাবে। মীর আব্দুল আলীম/এমজেড/আরআইপি

Advertisement