গত ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যু হয়। সোমবার পর্যন্ত মোট ২০ লাখ ৮৪ হাজার ২২২টি নমুনা পরীক্ষায় তিন লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ হাজার ৫৫৫ জন।
Advertisement
দেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি দশ লাখে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দুই হাজার ২২৯ দশমিক ৭৩ জন। প্রতি দশ লাখে মৃতের সংখ্যা ৩২ দশমিক ৬২ জন। আর প্রতি দশ লাখে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা এক হাজার ৭২৮ দশমিক ৬০ জন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত করোনাভাইরাস বিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩১ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১৯ ও নারী ১২ জন। ৩১ জনের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল পাঁচ হাজার ৫৫৫ জনে।
Advertisement
করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯টি পরীক্ষাগারে ১৩ হাজার ২৮৩টি নমুনা সংগ্রহ হয়। পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ২২৭টি। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও এক হাজার ৪৭২ জন।
ফলে দেশে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল তিন লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৮ জনে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৮৪ হাজার ২২২টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৫৩১ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৯৪ হাজার ৩৯১ জনে।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১১ দশমিক শূন্য ১৩ শতাংশ এবং এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২২ শতাংশ। রোগী শনাক্তের তুলনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৬ শতাংশ।
Advertisement
এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের মধ্যে পুরুষ চার হাজার ২৭৫ (৭৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ) ও নারী এক হাজার ২৮০ জন (২৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ)।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মৃত ৩১ জনের মধ্যে শূন্য থেকে ১০ বছর বয়সী একজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব দুইজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব সাতজন এবং ষাটোর্ধ্ব ১৭ জন।
বিভাগ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৩১ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রামে চারজন, সিলেট দুইজন, রংপুরে একজন ও ময়মনসিংহে দুইজন রয়েছেন।
এমইউ/বিএ/এমএস