আন্তর্জাতিক

৫ দিনেই ৯০ লাখ মানুষের করোনা পরীক্ষা করবে চীন

চীনের কিংদাও শহরে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে গেছে। ফলে ওই শহরের ৯০ লাখ মানুষের সবার করোনা পরীক্ষা করবে কর্তৃপক্ষ। পাঁচদিনের মধ্যেই ওই শহরের বিশাল জনসংখ্যার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। খবর বিবিসির।

Advertisement

সম্প্রতি ওই শহরের স্থানীয় একটি হাসপাতাল ডজন খানেক নতুন সংক্রমণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সেখানে বেশিরভাগ রোগীই বহিরাগত। অর্থাৎ তারা চীনের বাইরে অন্য কোনো দেশ থেকে এসেছেন।

এর আগে গত মে মাসে পুরো উহান শহরের বাসিন্দাদের করোনা পরীক্ষা করেছে চীন। সে সময় মাত্র ১০ দিনে ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের দেহে করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

Advertisement

চীনেই প্রথম করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়লেও গত কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় দেশটি করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশই এখন করোনার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

চীনের সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবোতে কিংদাও শহরের স্বাস্থ্য কমিশন এক বিবৃতে জানিয়েছে যে, সম্প্রতি ওই শহরে ছয়জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া আরও ছয়জন উপসর্গহীন রোগী পাওয়া গেছে।

গ্লোবাল টাইমস বলছে, এই সবগুলো কেস একই হাসপাতালের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সে কারণে গণহারে পরীক্ষার কৌশল গ্রহণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।

স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, গণহারে ওই শহরজুড়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। পাঁচটি জেলা তিন দিনে এবং পুরো শহরের লোকজনকে পাঁচদিনের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেডিকেল স্টাফ এবং নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি রোগীসহ ওই হাসপাতালের ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬২ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।

রোববার বিকেলের একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, লোকজন করোনা পরীক্ষার জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে। সকাল ৭টা থেকেই এসব টেস্ট পয়েন্ট খুলে দেওয়া হয়েছে।

চীনে সাম্প্রতিক সময়ে দৈনিক সংক্রমণ কমতে দেখা গেছে। এমনকি বেশিরভাগ শহরই এর মধ্যেই করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ৫৭৮। এর মধ্যে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৪ জন।

টিটিএন