কারো কারো মুখে এখনো কর্পোরেট লিগের কথাই উচ্চারিত হচ্ছে। অনেকেই ধরেই নিয়েছেন যে, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের পর ৫ দলকে নিয়ে যে টি-টোয়েন্টি আসর হবে- তা হবে কর্পোরেট লিগ।
Advertisement
তবে জাগো নিউজের পাঠকরা আগেই একটা ধারনা পেয়েছেন যে, ওই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট কর্পোরেট লিগ নামে হবে না। কারণ, করোনাকালিন সময়ে কর্পোরেট হাউজগুলো নিজের ইচ্ছায় খরচ করে দল নিতে উৎসাহী নয়।
আজ বিসিবি সভাপতির মুখেও প্রায় একই কথা। সরাসরি কিছু না বললেও তিনি রোববার রাতে জানিয়ে দিলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের (বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ) পর আমরা টি-টোয়েন্টি লিগ আয়োজন করবো। এটা মোটামুটি চূড়ান্ত। তবে সেই আসরের নাম কি হবে এবং তার রূপরেখা কেমন হবে? তাতে বিদেশী ক্রিকেটার খেলানো হবে কি না এবং সেটা কর্পোরেট লিগ হবে কি না- তা এখনো চূড়ান্ত নয়।’
তবে নাজমুল হাসান পাপনের কথায় পরিষ্কার আভাস- প্রেসিডেন্টস কাপের মত বা এই আদলেই হবে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। ওই আসরে দল সাজানো থেকে শুরু করে সবই বিসিবি ঠিক করে দেবে।
Advertisement
বিসিবি সভাপতির কথা, ‘আমরা আগামী পরশুর (১৩ অক্টোবর) মধ্যে সব চূড়ান্ত করে ফেলবো। তবে বিসিবি সভাপতি আভাস-ইঙ্গিতে বলেও দিয়েছেন যে কর্পোরেট লিগ হবে না। বা হবার সম্ভাবনা খুব কম।’
প্রসঙ্গক্রমে নাজমুল হাসান পাপন জানান, আমরা যেমন বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের দল গঠন থেকে শুরু করে সব কিছু ঠিক করে দিয়েছি, টি-টোয়েন্টি লিগেও আমরাই সব ঠিক করে দেব। তবে সে আসর কি কর্পোরেট লিগ হিসেবে পরিগণিত হবে? এমন প্রশ্ন করা হলে নাজমুল হাসান পাপনের জবাব, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আমরাও (বিসিবি) করতে পারি।’
এছাড়া বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো হবে কি হবে না? সে প্রশ্নের উত্তর এখনো অজনাই থেকে গেছে। বিসিবি সভাপতির ব্যাখ্যা, আমরা বিদেশী ক্রিকেটার খেলাবো কি খেলাবো না? আগামী পরশু দিন তা ঠিক করা হবে। তবে তিনি বিদেশি ক্রিকেটার না খেলানোর পক্ষেই কথা বলেছেন বেশি।
পাপনের ব্যাখ্যা, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টে (বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ) দল সাজিয়ে দিয়েছি। তিন দলের শক্তি ও সামর্থ্য প্রায় সমান সমান। শক্তির তারতম্য খুব কম। এখন বিদেশি ক্রিকেটার খেলতে আসলেই সেই শক্তির ভারসাম্যে হেরফের হবে। এক বা বা দুই দল ভাল মানের বিদেশি ক্রিকেটার দলে ভিড়িয়ে বাড়তি শক্তি সঞ্চয় করবে। তখন একেক দল একেক রকম হয়ে যাবে।
Advertisement
এই তিন দলের ওয়ানডে টুর্নামেন্টে দলগুলোর শক্তি ও সামর্থ্য যেমন খুব কাছাকাছি ও প্রায় সমান, তখন বিদেশী ক্রিকেটার অন্তর্ভুক্তির পর আর তা থাকবে না। এক বা একাধিক দল বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। আর কোন দল বেশি দূর্বল হবে। তাতে করে আয়োজন ফিকে হয়ে পড়বে। প্রতিযোগিতার আকর্ষণ যাবে কমে। তাই আমরা চাই দলগুলোর শক্তির ভারসাম্য ঠিক রাখতে। এমন ব্যাখ্যার পর ধরেই নেয়া যায় যে, টি-টোয়েন্টি লিগে বিদেশি ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তির সম্ভাবনা খুব কম।
এআরবি/আইএইচএস/পিআর