আন্তর্জাতিক

মাস্ক ব্যবহারে কঠোর হচ্ছে ইরান

মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে ইরান। এর আগে রাজধানী তেহরানে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। কিন্তু এবার ইরানের অন্যান্য শহরেও মাস্ক ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা আনা হচ্ছে।

Advertisement

রোববার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের বিস্তাররোধ করতে রাজধানী ছাড়াও অন্য শহরেও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

সম্প্রতি দেশটির পারমাণবিক সংস্থার প্রধান করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরই দেশজুড়ে নতুন বিধি-নিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। গত শনিবার তেহরানে গণপরিসরে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়।

সে সময় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি জানান, কেউ নতুন বিধিমালা লঙ্ঘন করলে তাকে জরিমানা দিতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশই যখন করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে তখন ইরানে করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে।

Advertisement

ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সায়েদ নামাকি বলেন, আমরা পুলিশ, প্যারামিলিটারি স্বেচ্ছাসেবী এবং অন্যান্য সংস্থাগুলোকে আমাদের সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তাদের প্রতি আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে নামাকি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, তেহরান থেকে নতুন পদক্ষেপ শুরু হবে এবং সামনের সপ্তাহগুলোতে তা অন্যান্য বড় শহরেও বিস্তৃত করা হবে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম নিশ্চিত করেছে যে, দেশটির পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান আলি আকবর সালেহির দেহে করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তবে তার শারীরিক অবস্থা বর্তমানে ভালো আছে এবং তিনি সংস্থাটির বিভিন্ন বিষয় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।

এর আগে গত শনিবার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাকের নোবাখত নামে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিষয়ক এক ভাইস জানান তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগে আরও দু'জন ভাইস প্রেসিডেন্ট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

এছাড়া ইরানে কমপক্ষে দুই শীর্ষ কর্মকর্তা কোভিড-১৯ সংক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যে এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরান। দেশটিতে মৃত্যুহারও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।

টিটিএন/জেআইএম