নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের কিশোর শামছুদ্দিন মিলনকে (১৬) ডাকাত সাজিয়ে পিটিয়ে হত্যার মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর ২নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফারহানা ভূঁইয়া গোয়েন্দা পুলিশের দাখিল করা চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করা হয়। বিচারক শুনানি শেষে এ রায় দেন।২০১১ সালের ২৭ জুলাই কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ডাকাত সন্দেহে কিশোর সামছুজ্জান মিলনকে (১৬) আটক করে স্থানীয় লোকজন পুলিশের গাড়িতে তুলে দেয়। সেখান থেকে কোম্পানীগঞ্জের তৎকালীন এসআই মো. আকরাম শেখের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মিলনকে থানায় না নিয়ে ডাকাত সাজিয়ে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেন। এরপর লোকজন নিরপরাধ এই কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার মিলনের মা কহিনুর বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ চার বছর তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন আদালতে। আদালত দায়েরকৃত মামলার নথি ও বাদী বিবাদীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দেন।এ ঘটনায় বাদীপক্ষের মহিলা আইনজীবী সমিতির অ্যাড. কল্পনা রানী দাস জাগো নিউজকে জানান, কিশোর মিলন হত্যা মামলাটি একটি চাঞ্চল্যকার মামলা। বাদী যেনো ন্যায় বিচার পায় আমরা সেটি প্রত্যাশা করছি। অপরদিকে, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. শংকর চন্দ্র ভৌমিক আদালদের এ নির্দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, সিআইডিকে দিয়ে মামলা তদন্তের মধ্যে দিয়ে বাদী এবং বিবাদী যেনো ন্যায় বিচার পায় আমরাও সেটি চায়।কিশোর মিলনের মা ও মামলা বাদী কহিনুর বেগম জানান, চার বছর হয়ে গেলো। কোনো সুষ্ঠ বিচার পাইনি। এখন আদালতের কাছে এসেছি। যে সিদ্ধান্ত দেয় তা মেনে নিবো। নোয়াখালী জজ কোর্টের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. এটিএম মহিব উল্যাহ জানান, সিআইডিকে দিয়ে অধিকতর তদন্ত হলে মামলাটি সুষ্ঠ তদন্ত হবে।মিজানুর রহমান/এআরএ/আরআইপি
Advertisement