রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সমগ্র জাতির জন্য রহমত। যা তার রেখে যাওয়া হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়। মানুষের জীবনের এমন কোনো দিক নেই যে ব্যাপারে তিনি দিক-নির্দেশনা দেননি। মক্কার অন্ধকার যুগ থেকে বর্তমান বিজ্ঞানের যুগের সবক্ষেত্রেই তাঁর দূরদৃষ্টির প্রমাণ পাওয়া যায়। তাইতো তিনি সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ গুণের অধিকারী। তিনি যে সর্ব গুণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখেছেন, তাঁর এমনই একটি হাদিস তুলে ধরা হলো-قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِرَجُلٍ وَهُوَ يَعِظُهُ " إغْتَنِمْ خَمْسًا قَبْلَ خَمْسٍ ، شَبَابَكَ قَبْلَ هَرَمِكَ وَصِحَّتَكَ قَبْلَ سَقَمِكَ وَغِنَاكَ قَبْلَ فَقْرِكَ وَفِرَاغَكَ قَبْلَ شُغْلِكَ وَحَيَاتَك قَبْلَ مَوْتِكَ .হজরত মাইমুন বিন মাহরান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, পাঁচটি বিষয়কে পাঁচ বিষয়ের পূর্বে গণীমত মনে কর। ১. বার্ধক্যের পূর্বে যৌবনকালকে। ২. অসুস্থ্যতার পূর্বে সুস্থতাকে। ৩. ব্যস্ততার পূর্বে অবসর সময়কে। ৪. দারিদ্র্যের পূর্বে সম্পদশালীতাকে। ৫. মৃত্যুর পূর্বে হায়াতকে। (তিরমিজি, মুসলিম, মুস্তাদরেকে হাকেম, বয়হাকি) এ হাদিসটি হজরত ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও বর্ণিত হয়েছে।মর্যাদার কারণ০১. যৌবনকাল এবং সক্ষমতার সময়টুকু ইবাদত এবং মেহনত করা বাস্তবে সম্ভব হয়, বার্ধক্যে তা কল্পনাও করা যায় না।০২. সুস্থতা জীবনের অনেক মূল্যবান অংশ, অসুস্থতায় তা অনুমান করা যায়। এ জন্যই সুস্থ অবস্থায় সময় নষ্ট করা অত্যন্ত ক্ষতি।০৩. রাত্র মানুষের জন্য অবসর সময়, এ সময়কে জিকির ও ইবাদাতে কাটানো উচিত। কারণ দিনের বেলার ব্যস্ত সময় নষ্ট করে ইবাদত করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।০৪. সম্পদশালী থাকাবস্থায়ই সম্পদের মূল্যয়ন করা। অপচয় না করা। মন্দ পথে অর্থ খরচ না করার প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। কারণ অভাবের কারণে মানুষ ঈমান হারা হয়ে যায়।০৫. সর্বোপরি দুনিয়া আখিরাতের শষ্যক্ষেত্র। এখানে আখিরাতের সম্বল কামাই করার জায়গা। তাই মৃত্যুর পূর্বেই জীবনের মূল্যায়ন করা ঈমানের অপরিহার্য দাবি।আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে হাদিসের উক্ত গুরুত্বপূর্ণ হাদিসের প্রতি আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement