আন্তর্জাতিক

পূর্ব ভূমধ্যসাগর সংকট নিয়ে আলোচনায় একমত তুরস্ক-গ্রিস

পূর্ব ভূমধ্যসাগরে সামুদ্রিক সীমানা ও জ্বালানিসম্পদ নিয়ে বিরোধের জেরে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনার পর আত্মবিশ্বাস তৈরির পদক্ষেপ এবং দ্বিপক্ষীয় অনুসন্ধানমূলক আলোচনার বিষয়ে একমত হয়েছে বিবদমান দুই পক্ষ তুরস্ক এবং গ্রীস। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চেভুসোগলু বৃহস্পতিবার এমন কথা জানিয়েছেন।

Advertisement

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী পূর্ব ভূমধ্যসাগর নিয়ে আঙ্কারা ও এথেন্সের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর প্রথমবারের মতো দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোস ডেনিডিয়াসের সঙ্গে বৈঠকের পর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় বসার ঘোষণা দিলেন।

স্লোভাকিয়ার বৈশ্বিক নিরাপত্তা ফোরামের আয়োজনে গ্রিক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমকে বলেন, প্রথম দফায় দ্বিপক্ষীয় অনুসন্ধানমূলক এই আলোচনা হবে তুরস্কে। কিন্তু এখনও তারিখ ঠিক হয়নি। তারিখ নির্ধারণে ন্যাটোর দুই সদস্য দেশ কাজ করছে বলেও জানানো হয়।

অঞ্চলটিতে সংঘাতের ঝুঁকি হ্রাস চেষ্টার অংশ হিসেবে তুরস্ক ও গ্রিস ইতোমধ্যে একটি সামরিক হটলাইন স্থাপন করেছে। গ্রিস ও তুরস্ক দুটি দেশই সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। তবে দেশ দুটির মধ্যে সীমান্ত ও সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সম্প্রতি এ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে তা আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়।

Advertisement

চলতি বছরের শুরুর দিকে তুরস্ক সম্ভাব্য তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত একটি এলাকায় জাহাজ পাঠালে উত্তেজনা বাড়ে। পরে অবশ্য সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি জাহাজটি ফিরিয়ে নেয় তুরস্ক।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে বলেছেন, গত সপ্তাহে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের সিদ্ধান্ত আঙ্কারা ও জোটের সম্পর্কের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত ছিল না।

ভিডিও কনফারেন্সে মেরকেলের সঙ্গে আলাপকালে এরদোয়ান তাকে বলেন যে, ইইউ গ্রিস এবং সাইপ্রাসের বিশ্বাসঘাতকতা বুঝতে পারেনি। উল্লেখ্য সম্মেলনে দেশ দুটি আঙ্কারার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছিল।

জোট সদস্যদের নিয়ে ওই শীর্ষ সম্মেলনের পর তুরস্কের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছিল ইইউ। ভূমধ্যসাগরে জ্বালানিসম্পদ ও সমুদ্রসীমা নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে বিরোধের জেরে ক্রমবর্ধমান উসকানি ও চাপ প্রয়োগের অভিযোগ তুলে আঙ্কারাকে নিষেধাজ্ঞার এমন হুমকি দেয় ইউরোপীয় দেশগুলোর ওই জোট।

Advertisement

এসএ/জেআইএম